Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

সাংসদ শতাব্দী রায়ের সামনেই তৃণমূল কর্মীদের মারামারি! হুলুস্থুল কান্ড বীরভূমে!

 

 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
বীরভূম জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এখন সর্বজনবিদিত হয়ে গিয়েছে। তবে দলীয় নেতৃত্ব বারবার করে সেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে লাগাম দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু কে কার কথা শোনে? এবার সমস্ত সীমারেখাকে লংঘন করে একেবারে তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের সামনেই বেধড়ক মারামারিতে জড়িয়ে পড়লো তৃণমূলের কর্মীরাই। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমত চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে গোটা জেলা জুড়ে।

জানা গিয়েছে, আজ বীরভূমের সিউড়িতে তৃণমূলের একটি এসআইআর সহায়তা ক্যাম্প পরিদর্শনী গিয়েছিলেন সাংসদ শতাব্দী রায়। যে সময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বলরাম বাগদী এবং তার ভাই। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে গাংটে গ্রামে তৃণমূল সাংসদ পৌঁছনোর সাথে সাথেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। যেখানে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি, যিনি শতাব্দী রায়ের সঙ্গে ছিলেন, তিনি সকল নেতা কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূল সাংসদের পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় তৃণমূলের বেশ কিছু কর্মী সেই অঞ্চল সভাপতিকে বেধড়ক মারধর করতে শুরু করে। এমনকি তার ভাইকেও মারধর করা হয়। পরবর্তীতে গাড়ির বাইরে বেরিয়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন স্বয়ং তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়। কিন্তু তারপরেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। পরবর্তীতে অঞ্চল সভাপতি এবং তার ভাইকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামনেই বিধানসভা নির্বাচন। আর তার আগে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে গোটা বীরভূম জেলা জুড়ে, তাতে বিরোধীরা তো দূরের কথা, তৃণমূলই কি তৃণমূলকে হারিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট? এর আগে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন কলকাতায় বৈঠক করেছিলেন, তখন অনুব্রত মণ্ডল এবং কাজল শেখ দুই পক্ষকেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কথা থেকে কেউ শুনছে না, তা আজ স্বয়ং তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের সামনে যেভাবে দুই পক্ষ মারামারিতে জড়িয়ে পড়লো, তার মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে গেল। আর এই ঘটনায় তৃণমূল যে যথেষ্ট অস্বস্তিতে পড়ে গেল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Exit mobile version