Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

শাসকের কেলেঙ্কারি, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে দলকে ডোবালেন জীবনকৃষ্ণ? ইডির তদন্তে ভয়ঙ্কর তথ্য!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
দুর্নীতি এবং তৃণমূল, এই রাজ্যের বুকে সমার্থক শব্দ বলেই দাবি করে বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই তৃণমূল কংগ্রেসের একাধিক নেতা থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিরা নিয়োগ দুর্নীতির ঘটনায় জেলের মধ্যে রয়েছেন। প্রথমে সিবিআইয়ের তদন্তে জেলে গিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা। তারপর জামিনে মুক্ত হলেও কিছুদিন আগেই ইডি তার বাড়িতে তল্লাশি চালায়। যেখানে আবারও তিনি সিবিআইয়ের যখন তদন্ত হচ্ছিল, তখন যেমন মোবাইল ফেলে দিয়েছিলেন, ঠিক তেমনই ইডির তদন্তেও মোবাইল ফেলে দেন। পরবর্তীতে সেই মোবাইল উদ্ধার করে জীবনকৃষ্ণ সাহাকে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি।‌ আর এবার ইডির তদন্তে যে সমস্ত চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে বলে বিশেষ সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা যাচ্ছে, তাতে এটা বলাই যায় যে, জীবনকৃষ্ণ সাহা আরও ডুবিয়ে দিলো তার দল তৃণমূল কংগ্রেসকে। অন্তত তেমনটাই মত পোষণ করছেন বিশেষজ্ঞরা।

কি ঘটনা ঘটেছে? সিবিআইয়ের পর কিছুদিন আগেই ইডির পক্ষ থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানো তৃণমূল বিধায়ক জীবন কৃষ্ণ সাহাকে। আর আজ তার তার জামিন মামলার শুনানি রয়েছে। তবে তার আগেই ইডির তদন্তে এই তৃণমূল বিধায়ককে নিয়ে সামনে এসেছে অত্যন্ত ভয়ঙ্কর কিছু তথ্য। যার ফলে প্রশ্ন উঠছে যে, এই নিয়োগ দুর্নীতির জাল ঠিক কতদূর বিস্তৃত? বিশেষ সূত্র মারফত পাওয়া খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, নিয়োগ দুর্নীতির টাকা সরাসরি নিজেই নিতেন এই তৃণমূল বিধায়ক। অর্থাৎ মাঝে কোনো এজেন্ট রাখতেন না তিনি। একেবারে সরাসরি নিজে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে খবর। এমনকি তাই নয়, যে টাকা তিনি নিতেন, সেই টাকা ও যে নাম রেফার করতেন, তা এসএসসি দপ্তরে যেত বলেই খবর পাওয়া যাচ্ছে।

আর এখানেই খোঁচা দিতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য যে, এসএসসি দপ্তর থেকে শুরু করে ওপর মহলে যে টাকা জীবনকৃষ্ণ পাঠাতেন, অবিলম্বে তাদের এবার জেরা করা উচিত। কারণ জীবন কৃষ্ণ সাহা যে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত, তা তো ইতিমধ্যেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। কারণ তা না হলে তিনি যখনই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তার বাড়িতে যাবে, তখনই ভয় কেন মোবাইল ছুড়ে ফেলে দেবেন? তার মানে তার মোবাইলে এমন কোনো ভয়ংকর তথ্য রয়েছে, যা উদ্ধার হলে শুধু তিনি নন, আরও অনেকেই চাপে পড়ে যেতে পারেন। বিরোধীদের অন্তত তেমনটাই দাবি। তাই এসবের মধ্যেই জীবনকৃষ্ণ সাহার জামিনের মামলার শুনানির আগে তার যে কুকীর্তি আরও বেশি করে সামনে এলো, তাতে একাংশ বলছেন যে, শুধু এই তৃণমূল বিধায়ক নন, তার এই সমস্ত পর্দা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় তার দলও রীতিমত বিধানসভা নির্বাচনের আগে দ্বিগুণ অস্বস্তিতে পড়ে যাবে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Exit mobile version