প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
যে ব্যক্তি যে দলই করুন না কেন, সবার আগে সকলের কাছে দেশ। দেশের উর্ধ্বে আর কিছু নয়। দেশকে যারা নিরাপদে রাখে, সেই সেনাবাহিনীর উর্ধ্বে আর কিছু হতে পারে না। তবে সেই সেনাবাহিনীকে যদি কেউ আক্রমণ করে, দেশের মধ্যে থেকে দেশের জনপ্রতিনিধি হয়ে যদি কেউ সেনাবাহিনীকে অপমান করে, তাহলে কি সহ্য করা যায়? আর সেই রকম একটা পরিস্থিতিতে গতকাল রাজ্য বিধানসভায় রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী সেনাবাহিনীকে অপমান করেছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেনাবাহিনী সম্পর্কে শিক্ষা মন্ত্রীর সেই মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই এবার পাল্টা চরম হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিংহ। তিনি বিধানসভায় থাকলে ব্রাত্য বসুকে ফেলে পেটাতেন বলে মন্তব্য করলেন অর্জুনবাবু।
প্রসঙ্গত, গতকাল রাজ্য বিধানসভায় হুলস্থুল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। যেখানে শুভেন্দু অধিকারীকে সাসপেন্ড করা হয়। পরবর্তীতে বাইরে বেরিয়ে এসে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা দাবি করেন যে, ব্রাত্য বসু দেশের সেনাবাহিনীকে অপমান করেছেন। তাই তার মন্তব্যের বিরোধিতা করতে গিয়ে তাকে সাসপেন্ড হতে হয়েছে। স্পিকার তৃণমূলের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের কথায় তাকে সাসপেন্ড করেছেন। তবে সেনাবাহিনীকে শিক্ষামন্ত্রী যেভাবে অপমান করেছেন, তার প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাকে যেভাবে সাসপেন্ড হতে হয়েছে, তাতে তিনি গর্বিত বলেও দাবি করেন শুভেন্দুবাবু।আর এই পরিস্থিতিতে এবার ব্রাত্য বসুকে চরম হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ।
এদিন শিক্ষামন্ত্রীর মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা মুখ খোলেন বিজেপি নেতা অর্জুন সিংহ। তিনি বলেন, “ব্রাত্য বসুকে ফেলে পেটানো উচিত ছিল। ভারতবর্ষের সংবিধানে, দেশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের তুলনা ভারতবর্ষের সঙ্গে করবে! এই ব্রাত্য বসুর মত দেশদ্রোহী লোকেদেরকে বিধানসভায় ফেলে পেটানো উচিত ছিল। আমি বিধানসভায় ছিলাম না, না হলে ওকে বুঝিয়ে দিতাম।” আর এরপরই সাংবাদিকরা অর্জুনবাবুকে প্রশ্ন করেন যে, আপনি যদি বিধানসভায় থাকতেন, তাহলে কি করতেন? আর সেই প্রশ্নের পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে অর্জুনবাবু বলেন, “আমি পেটাতাম ধরে। একটা মন্ত্রী বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতবর্ষের তুলনা করছে! যে ভারতবর্ষ বাংলাদেশকে জন্ম দিয়েছিল!” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন তৃণমূল অর্জুন সিংহের এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে বিভিন্ন কথা বলতেই পারে। তবে অর্জুনবাবুর ভেতরে দেশের সেনাবাহিনীকে অপমান নিয়ে ব্রাত্য বসুর প্রতি যে ক্ষোভ জন্ম নিয়েছে, তারই বহিঃপ্রকাশ তিনি এইভাবে করেছেন। আর তার শব্দচয়ন নিয়ে হয়ত বিতর্ক থাকতেই পারে। সেটা নিয়ে তৃণমূল কি করবে, সেটা তাদের ব্যাপার। তবে দেশের সেনাবাহিনীকে অপমান করা যে তিনি মন থেকেই মেনে নিতে পারছেন এবং সেই কারণেই যে তার এই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ, তা অর্জুনবাবুর মন্তব্যের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।