প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ইতিমধ্যেই যুবভারতী কাণ্ডে মুখ পুড়েছে রাজ্য সরকারের। যে আদিখ্যেতা সেখানে কিছু মানুষ শুরু করেছিলেন, যেভাবে দুই একজন মন্ত্রীর জন্য পুরো দর্শকরা মেসিকে দেখতে পারেননি, তা নিয়ে অসন্তোষ আছড়ে পড়েছে। আর পরিস্থিতি সামলাতে ইতিমধ্যেই রাজ্যের পক্ষ থেকে বেশ কয়েকজন পুলিশ কর্তাকে শোকজ করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, রাজ্যের ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস পদত্যাগ করেছেন। যদিও বা তার যে পদত্যাগের চিঠি সামনে এসেছে, তাতে যেভাবে ভুল বানান ধরা পড়েছে, তা নিয়ে খোঁচা দিচ্ছে বিরোধীরা। সবটাই যে লোক দেখানো এবং আইওয়াশ, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রত্যেকেই। আর এই পরিস্থিতিতে অরূপ বিশ্বাসের এই পদত্যাগ চিঠি নিয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা হচ্ছে বলেই দাবি করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। পাশাপাশি যেভাবে সাধারণ নিরীহ দর্শকদের কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তিনি।
ইতিমধ্যেই যুবভারতীর ঘটনা নিয়ে ব্যাপক চাপে রয়েছে রাজ্য সরকার। পরিস্থিতি সামলাতে ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তবে সেই সমস্ত পদক্ষেপ যে লোক দেখানো ছাড়া আর কিছু নয়, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রত্যেকেই। সামনে বিধানসভা নির্বাচন। তাই মেসিকে নিয়ে যে আদিখ্যেতা সেদিন হয়েছিল, যেভাবে দর্শকরা হাজার হাজার টিকিট কেটেও তাদের স্বপ্নের নায়ককে দেখতে পারেননি, তা নিয়ে তারা সকলেই অরুপ বিশ্বাস এবং সুজিত বসুর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আর এই পরিস্থিতিতে মানুষের ক্ষোভকে সামাল দিতে অরূপ বিশ্বাস পদত্যাগের নাটক করলেও, তা অনেকের কাছেই বিশ্বাসযোগ্য বলে মনে হচ্ছে না। আর সেই বিষয়েই এবার সোচ্চার হলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। আর সেখানেই তিনি বলেন, “আমাদের ক্রীড়া মন্ত্রী আবেগ তাড়িত বাংলায় একটি পদত্যাগ পত্র দিয়েছেন। তিনি শাক দিয়ে মাছ ঢাকতে চাইছেন। সেটা যদি ঢেকেও ফেলতে পারেন, কিন্তু শাকটাকে ঢাকতে পারবেন না। কাদের গ্রেফতার করা হয়েছে? একজন উদ্যোক্তাকে। যে বাচ্চা বাচ্চা ছেলেগুলোকে গ্রেফতার করা হলো, যারা টাকা দিয়ে টিকিট কিনেছে, মানে যোগ্য, তারা সরকারি চাকরি করেন, কেউ মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করেন। তারা সকলে উচ্চশিক্ষিত ছেলে। তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
