প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে এসআইআর প্রক্রিয়া। বিজেপি প্রথম দিন থেকেই দাবি করছে, এসআইআর সঠিকভাবে হলে অবৈধ বাংলাদেশিরা কোনোমতেই ভোটার তালিকায় থাকবে না। এতদিন এদেরকে ভোটার তালিকায় রেখেই তৃণমূল একের পর এক ভোট বৈতরণী পার হয়েছে বলেই দাবি বিরোধীদের। আর তার মধ্যেই খবর পাওয়া গিয়েছে যে, স্বরূপনগর থেকে পালাতে গিয়ে প্রায় ৩০০ বাংলাদেশি ধরা পড়েছেন। আর সেই বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সেই সমস্ত অবৈধ বাংলাদেশিদের পালানোর জন্য মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত ছিল বলে খোঁচা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
ইতিমধ্যেই এই রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। আর তার মধ্যে স্বরূপনগর থেকে প্রায় ৩০০ বাংলাদেশি পালাতে গিয়ে ধরা পড়েছেন বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে এই রাজ্যে যত অবৈধ বাংলাদেশি রয়েছেনহ তাদেরকে আশ্রয় দিচ্ছে বর্তমান সরকার বলে দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর তাই স্বরূপনগরের এই খবর প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যেভাবে সীমান্তে বেড়া দেওয়ার জন্য জমি দেয়নি এবং তাদের জন্যই যে বাংলাদেশীদের এই বাড়বাড়ন্ত, তাই তারা তারাতে যাওয়ার সময় কোন দিক দিয়ে পালাবেন, সেই পরামর্শ মমতা ব্যানার্জির কাছ থেকে নেওয়া উচিত ছিল বলে মুখ্যমন্ত্রীকে কথা শুনিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
এদিন স্বরূপনগরে পালাতে গিয়ে প্রায় ৩০০ বাংলাদেশি ধরা পড়েছেন বলে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই প্রসঙ্গে উত্তর দিতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “ওরা নিজেরাই ধরা দিয়েছে। মমতা ব্যানার্জিকে তো ওদের যোগাযোগ করা উচিত ছিল। উনি বলে দিতেন, কোথায় বেড়া নেই, কোথায় বিএসএফ নেই। এটা উনিই জানেন ভালো। ৫৪০ কিলোমিটার জমি দেননি। আর সভাতে দাঁড়িয়ে বলেন, অনুপ্রবেশের জন্য দায়ী অমিত শাহ প্রবেশের জন্য দায়ী বিএসএফ। আরে ভাই, জমি দিয়ে দিন না। ২০১৫ সাল থেকে রাজনাথ সিংজী লিখছেন, অমিত শাহজী লিখছেন। সুতরাং এরা একটু ভুল করে ফেলেছে। এদের যোগাযোগ করা উচিত ছিলো মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে আইপ্যাকের মাধ্যমে বা কোনো গরু পাচারকারীর মাধ্যমে।”
