Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

Big breaking SIR আতঙ্কে আরও বেকায়দায় মমতা? ফের জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী! জেনে নিন!

 

 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেভাবেই হোক, এসআইআরকে বন্ধ করতে চাইছেন। কারণ তিনি খুব ভালো মতই জানেন যে, এসআই ষআর যে প্রক্রিয়ায় এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে ভুয়ো ভোটারদের নাম বাদ যাবে। আর তাদের নাম বাদ গেলে তৃণমূলের ক্ষমতায় টিকে থাকা হবে না। আর সেই কারণেই বারবার করে যেভাবেই হোক, এসআইআর প্রক্রিয়াকে বানচাল করার চেষ্টা অথবা তাকে স্থগিত করার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন তৃণমূল নেত্রী বলেই দাবি করছে বিরোধীরা। কিছুদিন আগেই তিনি এসআইআরের কাজের চাপে বিএলওদের মৃত্যু হচ্ছে, এই বিষয়কে সামনে এনে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়ে এই প্রক্রিয়া স্থগিত রাখার আবেদন জানিয়েছিলেন। আর এবার ফের জ্ঞানেশ কুমারকে চিঠি দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এই রাজ্যে এসআইআর যে গতিতে চলছে, তাতে প্রতিনিয়ত শুভেন্দু অধিকারী দাবি করছেন যে, এক কোটির বেশি অবৈধ ভোটারের নাম বাদ যাবে। আর তাতেই কি আতঙ্ক আরও বাড়ছে তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে? আজ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে দুটি বিষয় নিয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন। যেখানে চুক্তিভিত্তিক ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগের ক্ষেত্রে সিইও অফিসের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তিনি। যাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। কিন্তু কি রয়েছে সেই চিঠিতে?

সূত্রের খবর, এদিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে একটি চিঠি লেখেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরবর্তীতে সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই চিঠি পোস্ট করেন তিনি। যেখানে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “চুক্তিভিত্তিক ডেটা এন্ট্রি অপারেটর দিয়ে কাজ করানো যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের সিইও। বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের কর্মীদের দিয়েও কাজ না করানোর কথা বলা হয়েছে। অথচ সিইও অফিস এক হাজার ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ করতে চেয়েছে এবং ৫০ জন সফটওয়্যার ডেভলপার নিয়োগের কথাও বলেছে। ইতিমধ্যেই জেলায় এই কাজ চলছে। নতুন করে কি প্রয়োজন পড়লো? বাইরের এজেন্সিকে দিয়ে পুরো এক বছরের জন্য একই কাজ করানোর উদ্যোগ নেওয়ার কি প্রয়োজন পড়লো সিইওর?” আর এখানেই বিরোধীরা বলছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকার প্রথমেই যদি ডেটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগের ব্যাপারে সদর্থক ভূমিকা নিতেন, তাহলে তো রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরকে এতটা তৎপর হতে হতো না। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বুঝতে পারছেন যে, তার সরকারের অস্থায়ী কর্মীদের দিয়ে তিনি এই কাজ না করালে কারচুপি করা যাবে না। তাই সিইও দপ্তর নিজের মতো করে গোটা প্রক্রিয়াকে সঠিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা শুরু করতেই আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। যার ফলে এবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে চিঠি দিয়ে গোটা বিষয়টিকে জটিল করতে চাইছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান বলেই পাল্টা দাবি করছে বিরোধীরা।

Exit mobile version