প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এসআইআর নিয়ে যে তৃণমূল কংগ্রেস অত্যন্ত ভয়ে রয়েছে, তা তাদের একের পর এক নেতা-নেত্রীদের বক্তব্যের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আর গতকাল তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যে বক্তব্য রেখেছেন, যেভাবে তিনি আক্রমণাত্মক মন্তব্য করেছেন, তাতেই স্পষ্ট যে, মুখে তারা যাই বলুক না কেন, বাস্তবে তারা এই এসআইআর হওয়ার পরে রীতিমত তটস্থ হয়ে রয়েছেন। আর সেই কারণেই এসআইআর করলেও ২০২১ সালের থেকে তৃণমূল একটি আসন হলেও বেশি পাবে বলে অনেক গ্যারান্টি দিচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে সেই সমস্ত কথা বলতে গিয়ে ২০২১ এর নির্বাচনের সময় যে খেলা হবে গান দিয়ে ভোটের ময়দানকে খেলার ময়দানে পরিণত করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস বলে অভিযোগ করে বিজেপি, গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে এসআইআর নিয়ে বলতে গিয়ে ফের সেই খেলার কথাই শোনা গেল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলায়। যা নিয়ে পাল্টা সোচ্চার হয়েছে বিরোধীরা।
গতকাল থেকেই এসআইআর লাগু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। আর গতকালই সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বেশ কিছু মন্তব্য করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এসআইআরের বিরুদ্ধে তার মন্তব্যের ফলেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, তিনি এবং তার দল তৃণমূল কংগ্রেস কতটা এই প্রক্রিয়ায় চাপে রয়েছে। আর তার মাঝেই বিজেপি নেতাদের চ্যালেঞ্জ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যদি আপনারা এসআইআর করেও গোহারা হরেন, তাহলে বিজেপি নেতারা বাংলার সংবাদ মাধ্যমকে ডেকে, বাংলার দশ কোটি মানুষের সামনে বলুন, আমরা যদি ২০২৬ সালে হেরে যাই, আর তৃণমূলের আসন সংখ্যা যদি একটা হলেও বাড়ে তাহলে আমরা ১ সপ্তাহের মধ্যে ২ লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া ছেড়ে দেব। না হলে আপনারা যা বলবেন, আমি তাই করব। আমার ওপেন চ্যালেঞ্জ বিজেপি নেতাদের কাছে, গ্রহণ করুন। খেলা আপনারা শুরু করলেন, শেষ আমরা করব।” আর এসআইআর যখন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া, যখন নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর এটা করতেই হবে বলে জানা যাচ্ছে, সেখানে এটাকে কেন খেলার সঙ্গে তুলনা করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়? তাহলে কি ছটফটানি শুরু হয়ে গিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে? আর সেই কারণেই গোটা প্রক্রিয়াকে বানচাল করার জন্য হুমকি, হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যাচ্ছে তাকে?
তবে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ থেকে এই খেলার কথা শোনার পরেই পাল্টা মাঠে নেমেছে বিজেপি। তৃণমূল সাংসদের বক্তব্যকে হাতিয়ার করে বিজেপি নেতার শিশির বাজোরিয়া বলেন, “আমরা ভোটকে কোনোদিনও খেলা বলি না। এটা আমাদের দেশের প্রত্যেক মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। এটা কোনো খেলা নয়। তৃণমূলের ভয় মাননীয়ার মুখে দেখা যাচ্ছে। তৃণমূলের ভয় ওদের নেতাদের মুখেও দেখা যাচ্ছে। হয়ত অভিষেকবাবু, উনি জানেন, এই নির্বাচন তো ওনাকে এফেক্ট করবে না। উনি তো সাংসদ। জিতে এসেছেন। কিভাবে সাত লক্ষ ভোটে জিতেছেন, কেউ জানে না?”
