প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর শুরু হওয়ার পর থেকেই রীতিমত চাপে রয়েছে এই রাজ্যে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। তাদের গতিবিধি এবং তাদের বক্তব্য প্রমাণ করে দিচ্ছে যে, তারা এসআইআরকে মোটেই ভালোমত নিতে পারছে না। আর এসআইআর সঠিকভাবে হলে যে অবৈধ ভোটব্যাংক থাকবে না এবং তার ফলেই যে তৃণমূলের এত গাত্রদাহ হচ্ছে, তাতে নিশ্চিত বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই এসআইআর প্রক্রিয়া বেশ কিছু জায়গায় সঠিকভাবে চললেও, অনেক জায়গাতেই বাংলাদেশি মুসলমানদের নাম বিএলওদের কাছ থেকে চাপ দিয়ে ওটিপি নিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু এখনও এই অবৈধ ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আর তার মোক্ষম সুযোগ হেয়ারিংয়ের সময়। তাই সেই হেয়ারিংয়ে যাতে কোনোভাবেই এই অবৈধ ভোটারদের নাম না থাকে, তার জন্য এবার বড় পদক্ষেপ নিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এসআইআর নিয়ে তৃণমূল যথেষ্ট অস্বস্তিতে থাকলেও, বেশ কিছু জায়গায় তারা চালাকি করছে বলেই অভিযোগ উঠেছে বিরোধীদের পক্ষ থেকে। বেশিরভাগ জায়গাতেই অবৈধ ভোটার এবং বাংলাদেশী মুসলমানদের নাম রেখে দেওয়ার একটা চক্রান্ত চালাচ্ছে এই রাজ্যের শাসক দল। আইপ্যাক নামক কোম্পানিকে দিয়ে বিডিওদের মাধ্যমে তারা বিএলওদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে মিথ্যে তথ্য সিস্টেমে তোলার চেষ্টা করছে বলে অতীতেও অভিযোগ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর গতকাল দিল্লিতে গিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি দিয়ে এখন তৃণমূল মিথ্যা তথ্য আপলোড করলেও এবং অবৈধ ভোটারদের রেখে দেওয়ার চেষ্টা করলেও, হেয়ারিংয়ের সময় যাতে এরকম কিছু না হয় এবং সেই সময় কে আসল, আর কে নকল, সেটা যাতে ধরা যায়, তার জন্য বড় দাবি জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর শুভেন্দু অধিকারীর এই দাবি মত যদি কাজ করে নির্বাচন কমিশন, তাহলে এসআইআর প্রক্রিয়া রাজ্যে সফল হতে বাধ্য বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
যতদূর খবর পাওয়া যাচ্ছেহ ইতিমধ্যেই পশ্চিমবঙ্গে এসআইআরের কাজ প্রায় শেষের মুখে। মাঝে ২২০৮ টি বুথে কেউ মারা যায়নি, কেউ স্থানান্তরিত হয়নি, এরকম তথ্য সামনে এসেছিল। কিন্তু পরবর্তীতে কমিশনের গুঁতোর পরেই সেই চিত্র পাল্টে গিয়েছে, যার ফলেই বোঝা যাচ্ছে যে, কতটা কারচুপি চলছে এই এসআইআর প্রক্রিয়ায়। আর সেই খবর রয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। তাই এখন যতই চালাকি করার চেষ্টা করুক এই রাজ্যের শাসক দল, প্রশাসনের মাধ্যমে তারা যতই মিথ্যে তথ্য আপলোড করে দেওয়ার প্রক্রিয়া করুক না কেন, যখন হেয়ারিং হবে, তখন যাতে সিসিটিভি নজরদারিতে এই হেয়ারিং করা হয়, এবার সেই দাবি তুলেই নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। এখন হেয়ারিংয়ের সময় সিসিটিভির নজরদারিতে গোটা প্রক্রিয়া করার যে দাবি শুভেন্দু অধিকারী করেছেন, তাতে কতটা সম্মতি প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন এবং সেই মত যদি কাজ হয়, তাহলে দুধ এবং জল কতটা আলাদা করা যায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।
