Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

SIR এর মাত্র ১০ লক্ষ নাম বাদ? শুনেই মুচকি হেসে কাঁপুনি ধরালেন শুভেন্দু!

 

 

 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গতকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনকি বিভিন্ন খবরের চ্যানেলে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে যে, এখনও পর্যন্ত এসআইআরের যে ফর্ম ডিজিটাইজেশন হয়েছে, তাতে নাকি মাত্র ১০ লক্ষ মানুষের নাম বাদ দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই যখন বিরোধী দল দাবি করছিল যে, কোটির ওপরে সংখ্যাটা যাবে, তখন পশ্চিমবঙ্গে মাত্র ১০ লক্ষ নাম বাদ গেল! এর থেকে তো বিহারে অনেক বেশি নাম বাদ গিয়েছিল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে যখন দেখতে পাওয়া যাচ্ছে যে, প্রচুর অনুপ্রবেশকারী সীমান্তে ভিড় করে রয়েছে, সেখানে এত কম সংখ্যায় কেন নাম বাদ গেল? তাহলে কি কোথাও ত্রুটি থেকে গেল এসআইআর প্রক্রিয়ায়? বিভিন্ন মহলে এই আলোচনা গতকাল রাত থেকেই শুরু হয়েছিল। কিন্তু আজ সাংবাদিক বৈঠকে এক সাংবাদিকের কাছ থেকে এই প্রশ্ন পেতেই শুভেন্দু অধিকারী মুচকি হেসে যে তথ্য দিলেন, তাতে বোঝাই যাচ্ছে যে, খেলা এখনও অনেকটাই বাকি রয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গে যে গতিতে এসআইআর হচ্ছে, তাতে যথেষ্ট উজ্জীবিত বিরোধীরা। প্রথম দিন থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী দাবি করছেন, পশ্চিমবঙ্গে ১০০ শতাংশ এসআইআর হবে না। কারণ এখানকার সরকার সহযোগিতা করছে না। তবে যে প্রক্রিয়ায় এসআইআর হচ্ছে, তাতে এক কোটির কাছাকাছি নাম বাদ যাবে। তবে হঠাৎ করেই গতকাল খবরের শিরোনামে উঠে আসে, বিভিন্ন জায়গায় প্রচার শুরু হয় যে, এখনও পর্যন্ত নাকি ১০ লক্ষ মানুষের নাম বাদ গিয়েছে।‌ আর তারপরেই যারা বিরোধী রাজনীতি করেন, যারা চাইছিলেন যে, ভুয়ো ভোটারদের নাম বাদ যাক, তারা এই খবর দেখে কিছুটা চিন্তিত হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু তাদের চিন্তা মুক্ত করে আজ শুভেন্দু অধিকারী আসল গল্পটা সকলের কাছে তুলে ধরলেন। একেবারে গ্যারান্টি নিয়ে তিনি বুঝিয়ে দিলেন, পশ্চিমবঙ্গে এক কোটির কাছাকাছি নাম বাদ যেতে চলেছে এসআইআর প্রক্রিয়ায়।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা অধিকারী। আর সেখানেই এক সাংবাদিক তার কাছে জানতে চান যে, এসআইআর প্রক্রিয়ায় ১০ লক্ষ মানুষের নাম বাদ গিয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। আর সেই প্রশ্নটাই যে তিনি এতক্ষণ চাইছিলেন, তা উল্লেখ করে মুচকি হেসে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আমাদের রাজ্যে মোট ভোটার ৭ কোটি ৬৬ লক্ষ। ফর্ম বিতরণ হয়েছে ৫ কোটি ২০ লক্ষ। প্রাথমিকভাবে ফেক, মৃত ইত্যাদি ভোটার চিহ্নিত হয়ে ফর্ম ফিরে আসেনি ১৩ লক্ষ। ম্যাচ করেনি ২২ লক্ষ। কে বা কারা রটিয়ে দিলেন, মাত্র ১০ লক্ষ বাদ গিয়েছে। নাম লিখে রাখুন। আমি না, ৯৫ সাল থেকে ভোটে লড়ছি। ১ কোটির ওপরে যাবে, নিচে নামবে না।”

Exit mobile version