প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আজ বনগাঁয় একটি সভা করার পর ঠাকুরনগরে একটি পদযাত্রা করেছেন। মূলত, এসআইআরের বিরুদ্ধেই তিনি এই কর্মসূচি করেছেন। আর সেই সভা থেকে অনেক কথা বলেছেন। তবে তিনি সেই সভায় যাওয়ার আগেই সকালে সাংবাদিক বৈঠক করে তাকে তুলোধোনা করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে মতুয়াদের গুরুদেব গুরুচাঁদ ঠাকুরকে অপমান করেছেন, তার জন্য সেই বনগাঁ গিয়ে ঠাকুরনগরের মাটি থেকে আগে গলায় গামছা দিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষমা চাওয়া উচিত। পাশাপাশি আরও দুটি কারণে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর আগে ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসআইআরের তীব্র বিরোধিতা করছেন। তিনি এসআইআরকে এনআরসি বলে গুলিয়ে দেওয়ার একটা চেষ্টা করছেন এবং প্রত্যেকটি ভোটারকে এই এসআইআরের বিরুদ্ধে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ বিজেপির। যেখানে হিন্দু শরণার্থীদের একজনেরও নাম কাটা যাবে না বলে বিজেপি নেতারা দাবি করছেন, তারা গ্যারান্টি দিচ্ছেন, সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন মানুষকে ভুল বোঝানোর এই চেষ্টা করছেন? কেন তিনি নিজের অবৈধ ভোটব্যাংককে রক্ষা করার জন্য বেছে বেছে মতুয়া সম্প্রদায়কের ভুল বোঝাচ্ছেন? তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বিজেপির বিরোধিতা করতে গিয়ে এসআইআরের বিরোধিতা করছেন এবং মতুয়া গড়ে গিয়েছেন, ঠিক তার আগেই সাংবাদিক বৈঠকে তিনটি বিষয়ে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানে মতুয়া গড়ে আজ মুখ্যমন্ত্রী সভা করছেন, সেই নিয়ে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শুভেন্দুবাবু বলেন, “মতুয়ারা জানেন, নমঃশূদ্ররা জানেন, তাদের রক্ষাকর্তা, ছাতার মত, বটবৃক্ষের মত নরেন্দ্র মোদী। মমতা ব্যানার্জি মালদহের গাজোলে দাঁড়িয়ে গুরুচাঁদ ঠাকুরের নামকে বক্রোক্তি করে অত্যন্ত খারাপ ভাষায় কথা বলেছিলেন। তারপর আজ পর্যন্ত ক্ষমা চাননি। আগে ওখানে গিয়ে বলুন, প্রভু গুরুচাঁদ ঠাকুরকে এমন বলা আমার অন্যায় হয়েছে, আমি গলায় গামছা দিয়ে ক্ষমা চাইতে এসেছি। দ্বিতীয় ক্ষমাটা ওখানে গিয়ে চান, কারণ আপনি নো সিএএ বলেছিলেন। তাই ওখানে গিয়ে বলুন যে, আমি সিএএর বিরোধিতা করে ভুল করেছিলাম। আপনি বলেছিলেন, এরা বেইমান, মা বীণাপাণি দেবীকে চিকিৎসা আমি করিয়েছি। সরকার করে থাকতে পারে। আপনি কে? আপনি এই কথা বলার মধ্যে দিয়ে মা বীণাপানি দেবীকে অপমান করে ঠাকুরবাড়িকে অপমান করেছেন। এই তৃতীয় ক্ষমাটাও আজকে বিকালে চাইবেন।”
