Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

SIR করতে দেব না বলেও নিজের হাতেই ফর্ম নিলেন মমতা? কাগজ দেখিয়ে প্রমাণ দিলেন শুভেন্দু!

 

 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসআইআরের বিরুদ্ধে এতদিন অনেক কথা বলেছিলেন। এসআইআর হওয়ার আগে পর্যন্ত তিনি বলেছিলেন, কোনোভাবেই তা পশ্চিমবঙ্গে করতে দেওয়া হবে না। এমনকি এসআইআর হলে ঘেরাও হবে, আন্দোলন হবে ইত্যাদি অনেক কথা তৃণমূলের নেতা নেত্রীদের গলায় শোনা গিয়েছিল। তবে ইতিমধ্যেই সেই সমস্ত হুমকি, হুঁশিয়ারিকে উপেক্ষা করে নির্বাচন কমিশন পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর প্রক্রিয়া ঘোষণা করে দিয়েছে। বাড়ি বাড়ি পৌঁছে যাচ্ছেন বিএলওরা। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও এক বিএলও এসআইআরের ফর্ম দিয়ে এসেছেন বলে খবর পাওয়া গিয়েছিল। তবে পরবর্তীতে মুখ্যমন্ত্রী অবশ্য জানিয়ে দেন যে, যে ফর্ম তিনি নিজের হাতে নিয়েছেন বলে বলা হচ্ছে, সেটা একেবারেই সর্বৈব মিথ্যা। তিনি এখনই এই ফর্ম ফিলাপ করবেন না, যতক্ষণ না গোটা রাজ্যের মানুষ এই ফর্ম পূরণ করছেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী যতই গোটা বিষয়টিকে অসত্য বা মিথ্যা বলে দাবি করার চেষ্টা করুন না কেন, আজ সকালে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের এই দলীয় মুখপত্র জাগো বাংলায় প্রকাশিত খবরকে সামনে দেখিয়ে যিনি একসময় এসআইআরের বিরোধিতা করেছিলেন, তিনি নিজের হাতে সেই ফর্ম নিয়েছেন বলে দাবি করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতেও এক বিএলও এসআইআরের ফর্ম দিতে যান বলে খবর আসে। এমনকি বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয় যে, মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে সেই ফর্ম গ্রহণ করেছেন। তবে পরবর্তীতে অবশ্য মুখ্যমন্ত্রী সেই দাবিকে খন্ডন করে জানিয়ে দেন যে, তিনি নিজের হাতে ফর্ম নিয়েছেন বলে যে কথা বলা হচ্ছে, তা একেবারেই মিথ্যা। কিন্তু এখানেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করে যে, মুখ্যমন্ত্রীর দলের নিজস্ব কাগজ জাগো বাংলায় তো এই খবর প্রকাশিত হয়েছে। তাহলে তারাও কি মিথ্যে সংবাদ পরিবেশন করেছেন? আর আজ সাংবাদিক বৈঠকে সেই তথ্য প্রমান তুলে ধরেই মুখ্যমন্ত্রী এখন যতই শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করুন না কেন, একের পর এক সংবাদপত্রে প্রকাশিত এসআইআরের ফর্ম তিনি নিজের হাতে গ্রহণ করেছেন বলে যে খবর প্রকাশ হয়েছে, তা নিয়ে পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই তিনি বলেন, “সব বিএলও তৃণমূলের কথা মত কাজ করছেন না। গৌতমবাবু মেরুদন্ড সোজা রেখে মুখ্যমন্ত্রীর হাতেই এসআইআরের ফর্ম দিয়েছেন। আর মুখ্যমন্ত্রীর হাতে দেওয়ার পরে প্রথম এটা তৃণমূলের অফিসিয়াল মুখপত্র জাগো বাংলায় আসে, নিজের এসআইআরের ফর্ম নিজেই নিলেন ভোটার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জাগো বাংলা কোন পার্টির মুখপত্র? গণশক্তি যেমন সিপিএমের। আমাদের তো অত টাকা নেই। আমরা প্রতিদিন বের করতে পারি না। আমরা একটা জনবার্তা বের করি মাঝেমধ্যে। তারপরে আরও একটা কাগজ। এটা কে আর বলতে হবে না। এর পরিচয় দেওয়া লাগবে নাকি? তারপরে এটা আরও একটা কাগজ। সেকুলারিজ্যামে বিশ্বাস করে। খুব চাপে পড়ে লিখেছে, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করছে। পশ্চিমবঙ্গে লেখে না। অসংখ্য পোর্টাল তারাও এই খবর করেছে। তাহলে কি হলো? এসআইআর হতে দেব না, ঘির লুঙ্গি, আন্দোলন হো জায়েগি, পুরা ঘেরাও কর দুঙ্গা, নেহি করনে দুঙ্গি এসআইআর, এগুলো বলা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূল সুপ্রিমো নিজের হাতেই বিএলওর কাছ থেকে ফর্ম নিলেন।”

Exit mobile version