Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

SIR নিয়ে এত তাড়াহুড়ো সহ্য হচ্ছে না মমতার? মুখ্যমন্ত্রীর অস্থিরতা আরও বাড়িয়ে দিলেন শুভেন্দু!  

 

 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তার দল তৃণমূল কংগ্রেস যে, এসআইআরের ফলে রীতিমত আতঙ্কিত এবং তারা যে কোনো মতেই এই এসআইকে স্বাগত জানাতে পারছে না, তা তাদের অঙ্গভঙ্গি এবং বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গ বাদেও একাধিক রাজ্যে এসআইআর হচ্ছে। সেখানেও বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো রয়েছে। কিন্তু তারা এভাবে তার বিরোধিতা না করলেও, পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে তার বিরোধিতা করা হচ্ছে এবং যেভাবে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, তাতে বিরোধী শিবিরের পক্ষ থেকে পাল্টা প্রশ্ন আসছে যে, মুখ্যমন্ত্রীর এতে এত ভয় কেন? এসআইআর তো একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর এর আগেও হয়েছে। তাহলে নির্বাচন কমিশন কিভাবে সেই এসআইআর করবে, সেটা নির্বাচন কমিশনের ব্যাপার। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী তাতে এত বাধা দিচ্ছেন কেন? আর তাতে তার এত গাত্রদাহ হচ্ছে কেন? তাহলে কি অবৈধ ভোটব্যাংক বাতিল হয়ে যাওয়ার ভয়ে, ক্ষমতায় না ফেরার আতঙ্কেই তার এত ছটফটানি?

ইতিমধ্যেই গতকাল এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গ থেকে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেছেন। আর সেখানে তিনি যে সমস্ত কথা বলেছেন, তা ঘিরে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। একজন মুখ্যমন্ত্রী কি করে এসআইআরের এতটা বিরোধিতা করতে পারেন, কিভাবে পথে নামতে পারেন! আর কিভাবেই বা নির্বাচন কমিশনকে আক্রমণ করতে পারেন! তাহলে কি তিনি বুঝতে পারছেন যে, এসআইআর হলে তার আর ক্ষমতায় টিকে থাকা হবে না! তাই কেন তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে, এত তাড়াতাড়ি কি করে এসআইআর হবে, এই সমস্ত প্রশ্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে করতে দেখা যাচ্ছে। তবে বিরোধীরা পাল্টা বলছেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব রাজ্য পরিচালনা করা। এসআইআর কিভাবে পরিচালিত হবে, তা দেখার দায়িত্ব তো তার নয়। এসআইআর কিভাবে করা হবে, কতটা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে করা হবে, সেটা নির্বাচন কমিশন বুঝে নেবে। আর সেটা নিয়ে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এত মাতামাতি কেন? তবে সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে ভারতীয়দের নাম কাটার একটা চেষ্টা করছেন এবং তাদের নাম যাতে বাদ যায় এবং অবৈধ ভোটারদের নাম যাতে থাকে, তার জন্য যে তার এই এসআইআরের এত বিরোধিতা, তা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্ন তোলেন যে এসআইআর নিয়ে এত তাড়াহুড়ো করা হচ্ছে কেন? আর সেই প্রশ্নের উত্তরে পাল্টা তার জবাব দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “বিহারে ক’দিনে হয়েছে? স্বাধীনতার পরে আটবার হয়েছে‌, প্রত্যেক দিন বলছি আপনাদের। ২০০২ এ পশ্চিমবঙ্গে হয়েছে, ২০০৩ এ ভোটার লিস্ট বেরিয়েছে। ২৬ লক্ষ লোকের নাম বাদ গিয়েছে। আসল কথা, খালা মমতা ব্যানার্জি বাংলাদেশী মুসলমানদের রক্ষা করতে চাইছেন এবং ভারতীয়দের নাম কাটতে চাইছেন। যেমন আমরা সাপের গর্তে কার্বলিক দিই। জ্ঞানেশ কুমার এবং মনোজ আগরওয়াল গর্তে কার্বলিক দিয়ে দিয়েছেন। এখন সাপেরা বাইরে বেরোচ্ছে।”

Exit mobile version