Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

SIR নিয়ে তো আরও মারাত্মক তথ্য দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী! এমনটা হলে আদৌ খুঁজে পাওয়া যাবে তো তৃণমূলকে?

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এসআইআরের প্রবল বিরোধিতা করতে শুরু করেছে। তাদের একটাই বক্তব্য যে, এসআইআর করে অনেক ভোটারের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। তবে বিজেপি পাল্টা যুক্তি দিয়ে বলছে যে, এসআইআর একটি চলমান প্রক্রিয়া। নির্বাচন কমিশন যদি সেই এসআইআর করতে চায়, তাতে বাধা দেওয়ার কিছু নেই। বরঞ্চ এই এসআইআর হলে অনেক ভুয়ো ভোটারের নাম বাদ যাবে। আর তার ফলে তৃণমূলের ক্ষমতা থেকে বিদায় কার্যত নিশ্চিত হবে বলেই দাবি করছে বিজেপি। আর সেসবের মাঝেই তৃণমূল যখন এই এসআইআরের আতঙ্কে ভুগতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই এসআইআর হলে কত ভোটারের নাম বাদ যাবে, তা নিয়ে মারাত্মক তথ্য ফাঁস করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।

ইতিমধ্যেই রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে এসআইআর সংক্রান্ত একাধিক বৈঠক হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। সকলেই প্রায় নিশ্চিত যে, বাংলায় এসআইআরের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়া শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা। তবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে অনেকেই এই এসআইআরের বিরোধিতা করতে শুরু করেছেন। তবে তাদের আতঙ্ক হওয়া যে স্বাভাবিক, কারণ অনুপ্রবেশকারী থেকে শুরু করে অবৈধ ভোটারের নাম এই এসআইআরের মধ্যে দিয়ে বাদ যাবে। আর তার ফলে তৃণমূলের ক্ষমতায় থাকা হবে না বলেই দাবি করছে বিজেপি। আর তার মাঝেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর এসআইআর নিয়ে আরও ভয়ংকর যে দাবি করে বসলেন, তাতে সত্যিই যদি এটা হয়, তাহলে ২৬ এর নির্বাচনে ভোটবাক্স খোলার পর আদৌ তৃণমূলকে খুঁজে পাওয়া যাবে তো, তা নিয়ে খোঁচা দিতে শুরু করেছে বিরোধীরা।

এদিন এসআইআর নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তিনি বলেন, “এসআইআর হলে কমপক্ষে ১ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ, যারা অবৈধভাবে ভোটার হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে আঁকড়ে বসে আছে, তারা কিন্তু বাদ যাবে। সেখানে রোহিঙ্গা মুসলিম, বাংলাদেশি মুসলিম, ভুতুড়ে ভোটার, এরা কিন্তু আর পশ্চিমবঙ্গে কোনোমতেই ভোট দিতে পারবে না।” আর কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই বক্তব্য সামনে আসার পরেই অনেকে বলছেন, যদি সত্যিই এমনটা হয়, যদি সত্যিই ভুয়ো ভোটারদের এইভাবে বাদ দেওয়ার কাজ শুরু করে নির্বাচন কমিশন, তাহলে তৃণমূল চোখে সর্ষেফুল দেখতে শুরু করবে। আর এত সংখ্যায় যদি অনুপ্রবেশকারী থেকে শুরু করে অবৈধ ভোটারের নাম বাদ যায়, তাহলে তৃণমূলের ক্ষমতায় থাকা নিয়েই বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন উঠে যাবে বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

Exit mobile version