Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

Big breaking শোকজের পরেই কি দল ছাড়ছেন মদন মিত্র? কি লিখলেন চিঠিতে? জেনে নিন!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
তৃণমূল দলে সাসপেন্ড এবং শোকজ যে গরুর গাড়ির হেডলাইটের মত, তা নিয়ে বারবার খোঁচা দিয়েছে বিরোধীরা। মোটের ওপর তৃণমূল যে কোনো রাজনৈতিক দল, এটা মানতেই রাজি নয় বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। তবে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া কসবার আইন কলেজে এক ছাত্রীকে গণধর্ষণের পরেই তৃণমূলের মধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছিল গৃহযুদ্ধ। একের পর এক হেভিওয়েট ব্যক্তির মন্তব্য রীতিমত দলকে অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। যেখানে কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র যে মন্তব্য করেন, তারপর রীতিমত চাপে পড়ে যায় তৃনমূল নেতৃত্ব। মেয়েটির একা সেই কলেজে যাওয়া কখনই উচিত হয়নি বলে মদন মিত্রের মন্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে শোকজ করা হয় দলের পক্ষ থেকে। আর অবশেষে সেই শোকজের উত্তর দিতে গিয়ে চিঠিতে বড় কথা লিখে দিলেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক।

জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী মদন মিত্রকে শোকজ করে তিন দিনের মধ্যে উত্তর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আর সেই মতই আজ গোটা ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে তৃণমূলের রাজ্য সভাপতিকে সেই শোকজের উত্তর দিয়েছেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক। যেখানে তিনি লিখেছেন, “আমার মন্তব্যে দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় আমি লজ্জিত ও ক্ষমাপ্রার্থী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের প্রতি আমার আস্থা অটুট। দল পদক্ষেপ করলেও, আমি দল ছাড়বো না।” আর মদন মিত্রের সব কথা ঠিক বলে মনে হলেও, তিনি একদম শেষে যে কথা লিখেছেন যে, “দল পদক্ষেপ করলেও, আমি দল ছাড়ব না” এই কথা বলার কারন কি! তা নিয়েই ঘনীভূত হতে শুরু করেছে রহস্য।

অনেকে বলছেন, মদনবাবু হাওয়া বুঝতে পারছেন। তিনি বুঝতে পারছেন যে, তৃণমূলের শেষের সময় এসে গিয়েছে। তাই এখন নিজেকে দুর্দিনের সঙ্গী হিসেবে বোঝানোর জন্য এখনও পর্যন্ত তৃণমূল ক্ষমতায় রয়েছে জন্য তিনি দলের প্রতি কতটা অনুগত, এটা বোঝানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন। দল তার বিরুদ্ধে হয়ত কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে, সেই ভয়েই তৃণমূলের শেষের সময় যাতে ক্ষমতার সঙ্গে থাকা যায়, তার জন্যই মদন মিত্র মরিয়া হয়ে উঠেছেন এবং সেই কারণেই দল পদক্ষেপ করলেও তিনি দল ছাড়বেন না বলে চরম আনুগত্য প্রকাশ করতে চাইছেন। তবে তৃণমূলের সাসপেন্ড এবং শোকজ সবটাই একটা চিত্রনাট্য। তৃণমূল দল যাত্রাপালা ছাড়া আর কিছু নয়। তাই মদন মিত্র কি বললেন এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূল কি পদক্ষেপ গ্রহণ করলো, এসব নিয়ে রাজ্যবাসী মোটেই চিন্তিত নয়। রাজ্যের মানুষ এখন তৃণমূলের থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করছে। আগামী দিনে এই নারী নির্যাতনের বিরুদ্ধে রাজ্যের মানুষ একত্রিত হয়ে আসল “ম” কে নবান্ন থেকে উৎখাত করে তৃণমূলের বিসর্জন দেবে বলেই দাবি বিরোধীদের।

Exit mobile version