Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

“সোমবার বিকেল ৫ টা” কি ঘটনা ঘটতে চলেছে রাজ্যে? ডেডলাইন বেঁধে দিলেন শুভেন্দু!  

 

 

 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অত্যন্ত আতঙ্কিত ২৬ এর নির্বাচন নিয়ে। তিনি বুঝতে পারছেন, ২৬ এর নির্বাচনে বাংলায় এসআইআর হবে‌। আর তার আগে যা প্রস্তুতি, তা নিতে শুরু করেছেন নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক হিসেবে যিনি রয়েছেন, তিনি আগের নির্বাচনী আধিকারিকের মত এতটা দলদাস হয়ে কাজ করছেন না জন্যই হয়ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাত্রদাহ হতে শুরু করেছে। নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বর্তমান সিইও নিরপেক্ষ রাখার চেষ্টা করছেন জন্যই এবং একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে জন্যেই গতকাল নবান্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই মনোজ আগরওয়াল সম্পর্কে যা ইচ্ছে তাই বলে আক্রমণ করেছেন। অন্তত তেমনটাই দাবি বিরোধীদের। আর সেই ঘটনাই সোচ্চার হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন এই ধরনের মন্তব্য করার জন্য ব্যবস্থা নেবে না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। আর আজ সেই রাজ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে গিয়ে সাক্ষাতের পর বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে বড় দাবি জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এদিন মনোজ আগরওয়াল, যিনি রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক, তার সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রী যে মন্তব্য করেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর শাস্তির দাবিতে গর্জে ওঠেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একেবারে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরে বিজেপি বিধায়কদের সঙ্গে করে পৌঁছে যান তিনি। যেখানে একটাই দাবি জানানো হয় যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে মন্তব্য করেছেন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সম্পর্কে, তা অত্যন্ত অপমানজনক। তাই সেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে এবার পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত কমিশনের। পরবর্তীতে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর চাপ বাড়িয়ে তিনি মনোজ আগরওয়াল সম্পর্কে যে সমস্ত মন্তব্য করেছেন, তার স্বপক্ষে তাকে প্রমাণ দিতে হবে বলে রীতিমত সময়সীমা বেঁধে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “গতকাল পশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনিক প্রধান মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক হেডকোয়ার্টার নবান্নতে রাজ্যের মুখ্যসচিব, এক্সটেনশনে থাকা আইএএস অফিসার মনোজ পন্থের উপস্থিতিতে সরাসরি নির্বাচন কমিশন এবং তার মুখ্য প্রতিনিধি পশ্চিমবঙ্গের সিইও মনোজ আগরওয়ালকে আক্রমণ করেছেন। যাকে বলা যেতে পারে, বিলো দ্যা বেল্ট। মনোজ আগরওয়ালের বিরুদ্ধে আপনার কাছে কি তথ্য রয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের জনগণ জানতে চায়। আমরা প্রধান বিরোধী দল জানতে চাই। আপনি যদি সোমবারের মধ্যে মনোজ আগরওয়ালের দুর্নীতি প্রকাশ করতে না পারেন, আপনার আইএএস, আইপিএস অফিসারদের, আপনার সিএমও স্টাফেদের সিরিজ অফ দুর্নীতি আমরা আজ কিছুটা বললাম। বাকিটাও ভবিষ্যতে বলব। তাই আপনাকে সোমবার বিকেল ৫ টা অবধি টাইম দিয়ে গেলাম। আপনাকে প্রমাণ দিতে হবে।” অর্থাৎ রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সম্পর্কে যা ইচ্ছে তাই বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি ভেবে থাকেন যে, তিনি পার পেয়ে যাবেন, সেটা যে হচ্ছে না, তা আজই বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। একেবারে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের বাইরে সাংবাদিক বৈঠক করে সোমবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যে বক্তব্য রেখেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে তথ্য প্রমাণ দেওয়ার সময়সীমা বেঁধে দিলেন শুভেন্দুবাবু। এখন মুখ্যমন্ত্রীকে যে ডেডলাইন বেঁধে দিলেন বিরোধী দলনেতা, তার পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী বা নবান্নের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া আসে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

Exit mobile version