প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
বিহারে ইতিমধ্যেই এসআইআরের পর নির্বাচন হয়েছে। আর সেই নির্বাচনে বিরোধীদের যে শোচনীয় ফলাফল সামনে এসেছে, তা দেখে দেশের বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক। গতকাল থেকেই শুরু হয়েছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। আর প্রথম থেকেই সেই অধিবেশনকে ভন্ডুল করার একটা চেষ্টা যে বিরোধীদের পক্ষ থেকে করা হবে, এই খবর খুব ভালো করেই জানতেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাই বিরোধীদের নাটক না করার পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আজ সংসদের বাইরে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো একত্রিত হয়ে এসআইআরের বিরুদ্ধে স্লোগান, বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। যেখানে সামিল হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে সব থেকে বেশি ভোট চুরিতে অভিযুক্ত রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রতিনিধিরাও। আর সেই বিষয়কে হাতিয়ার করে এবার তৃণমূলকে সবথেকে বড় ভোট লুটেরা বলে কটাক্ষ করলেন বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য।
বর্তমানে বিহারের পর শুধু পশ্চিমবঙ্গ নয়, দেশের মোট ১২ টি রাজ্যে এসআইআর হচ্ছে। কিন্তু কোথাও থেকে তেমন কোনো অশান্তির খবর না পাওয়া গেলেও বারবার করে খবরের শিরোনামে উঠে আসে পশ্চিমবঙ্গ। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে, এখানকার শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এতদিন অবৈধ ভোটার, মৃত ভোটার, বাংলাদেশি ভোটারদের ভোটার তালিকায় রেখে দিয়েছিল। আর এখন এসআইআর হলে সেই সমস্ত নাম বাদ যাবে, এই আতঙ্কে তৃণমূল এর বিরোধিতা করতে শুরু করেছে। এমনকি একধাপ এগিয়ে বিরোধীদের পক্ষ থেকে এসআইআর নিয়ে সংসদের বাইরে আজ যে প্রতিবাদ কর্মসূচি হয়েছে, সেখানেও তৃণমূলের দুইজন প্রতিনিধিকে উপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছে। আর যারা পশ্চিমবঙ্গের ভোটে সবথেকে বেশি হিংসার ঘটনা ঘটায়, যারা বাংলায় সাধারণ মানুষকে ভোট দিতে যায় না, যারা কারচুপি করে ভোটে জেতে, যারা অবৈধ ভোটারদের ভোটার তালিকায় রেখে দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা করছে, তাদের এই বিক্ষোভ যে মানায় না, তা পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিয়ে বুঝিয়ে দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।
এদিন সংসদের বাইরে তৃণমূল সহ বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে এসআইআর নিয়ে যে বিক্ষোভ হয়েছে, সেই ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া দেন বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, “তৃণমূলের দুইজন হয়ত ভুল করে এখানে চলে আসতে পারে। আর যদি তৃণমূল পরিকল্পনা মাফিক তাদের দুইজনকে পাঠিয়ে দিয়ে থাকে, তাহলে অন্য যারা ধর্না দিচ্ছে, তাদের বোঝা উচিত, সব থেকে বেশি যদি কোথাও ভোট চুরি যদি হয়, তাহলে সেটা পশ্চিমবঙ্গ। সারা ভারতবর্ষের ভোট রাজনীতির সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের যে ভোট রাজনীতি, তার সংস্কৃতিগত একটা পার্থক্য আছে। আর তৃণমূল হচ্ছে, সবথেকে বড় ভোট লুটেরা। তাদের সঙ্গে এরা বসে পড়েছে। আর এই ধরনের ধর্না দিলে আর যাই হোক, যে সরকারগুলো আছে এখন, সেগুলো বদল হয়ে যাবে না। আর ২৬ এও তৃণমূলকে রক্ষা করা যাবে না।”
