Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

Big breaking সংসদে নয়া বিল পেশ কেন্দ্রের, ভয়ে থরথর করে কাঁপছে ইন্ডি? চাপের মুখে এই মন্তব্য অভিষেকের!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
আজ সংসদে এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে চলেছে গোটা দেশ। যেখানে সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যে বিলে বলা হয়েছে যে, একটানা যদি দেশের প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী বা অন্যান্য মন্ত্রীরা গ্রেফতার হয়ে ৩০ দিনের বেশি হেফাজতে থাকেন, তাহলে তাকে পদত্যাগ করতে হবে অথবা তাকে পদ থেকে সরিয়ে দিতে হবে। আর কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এই বিল পেশের প্রক্রিয়া শুরু হতেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে রীতিমত সেই বিলকে চ্যালেঞ্জ জানানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিরোধীদের একটাই দাবি যে, বেছে বেছে বিজেপি বিরোধী রাজ্যগুলিতে প্রতিহিংসা মূলক আচরণের জন্যই এই বিল আনতে চাইছে কেন্দ্র। যাতে দ্রুত সেখানকার সরকার ফেলে দেওয়া যায়। যার ফলে অনেকে মনে করছেন যে, বিরোধীরা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আনা এই বিলের ফলে থরথর করে কাঁপতে শুরু করেছে। কারণ তারা সব থেকে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত। তাই সেই কারণে এই বিল যদি বলবৎ হয়, তাহলে বিরোধী দলের নেতা নেত্রীরা দুর্নীতির জালে ফেঁসে যাবেন। আর তারা গ্রেপ্তার হলে তাদের সরকার পড়ে যাবে জন্যেই বিরোধীদের পক্ষ থেকে এই অযাচিত বিরোধিতা বলে এই কটাক্ষ গেরুয়া শিবিরের। আর সেই সবের মধ্যেই এবার বিলের বিরোধিতায় সোচ্চার হলেন তৃণমূলের লোকসভার দলনেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

বলা বাহুল্য, এদিন সংসদে বিল পেশের আগে থেকেই বিভিন্ন মহলে চর্চা শুরু হয়। বিলের প্রবল বিরোধিতা যে বিরোধী পক্ষের পক্ষ থেকে আসবে, সেই ব্যাপারে সকলেই নিশ্চিত ছিলেন। আর তার মাঝেই সোশ্যাল মিডিয়ায় গোটা বিষয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এসআইআরের প্রসঙ্গ তুলে ধরে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে সক্রিয় করে যাতে গণতন্ত্রের শ্বাসরোধ করা যায়, এখন তার চেষ্টা চলছে বলে দাবি করলেন তিনি। পাশাপাশি বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারকে ভারত বিরোধী বলেও দাবি করেছেন এই তৃণমূল সাংসদ।

এদিন সংবিধান সংশোধনী বিল নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তিনি লেখেন, “বিরোধী সহ গোটা দেশের সমর্থন সত্বেও পাক অধিকৃত জম্মু ও কাশ্মীরের পুনর্দখলের সাহস নেই কেন্দ্রীয় সরকারের। মধ্যযুগীয় এই সংবিধান সংশোধনী বিলের তীব্র বিরোধিতা করছি। নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে এসআইআর করাতে গিয়ে মুখ থুবড়ে পড়েছে। তাই এখন আর একটি‌ “ই” ইডিকে সক্রিয় করে তুলতে আইন আনা হচ্ছে, যাতে বিরোধীদের নিশানা করা যায়, গণতন্ত্রের শ্বাসরোধ করা যায় এবং মানুষের রায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে রাজ্যের সরকার গুলিকে ফেলে দেওয়া যায়। এই সরকার মানুষ বিরোধী, কৃষক বিরোধী, দরিদ্র বিরোধী, তপশিলি জাতি উপজাতি, অনগ্রসর শ্রেণীর বিরোধী এবং সর্বোপরি ভারত বিরোধী। বিজেপিকে একটি ভোট দেওয়ার অর্থ দেশের আত্মাকে বিক্রি করে দেওয়া। ওদের ভোট দেওয়ার অর্থ দেশের সংবিধান বিক্রি করে দেওয়া। ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে ভারতকে উগ্র স্বৈরাচারীদের হাতে তুলে দেওয়া। গান্ধী এবং আম্বেদকরের আদর্শের ওপর ভিত্তি করে তৈরি ভারত ক্ষমতালোভী, স্বৈরাচারী শাসকের হাতে নিজের আত্মা সমর্পণ করবে না।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, কেন্দ্রের পক্ষ থেকে যে সংবিধান সংশোধনী বিল আনা হয়েছে, তাতে রীতিমত ভয়ে থরথর করে কাঁপছে বিরোধীরা। কারণ বিরোধীরা যদি দুর্নীতিতে ভয় নাই পাবে, তাহলে তাদের এত এই বিলে ভয় কিসের? বারবার তো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের প্রধান নেত্রী দাবি করেন যে, তারা সততার প্রতীক! তাহলে দুর্নীতি না করলে তারা জেলে যাবেন না, আর জেলে না গেলে তারা তো ক্ষমতায় থাকবেন! সেক্ষেত্রে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আনা এই বিলকে স্বচ্ছতার নিরিখে দেখে যখন দেশের সিংহভাগ মানুষ স্বাগত জানাচ্ছেন, তখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের এত গাত্রদাহ হচ্ছে কেন? তাহলে কি তারা দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়ার জন্যই এই বিলের বিরোধিতা করছেন! তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহল।

Exit mobile version