প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
বেশ কিছুদিন ধরেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছে তার। তবে এখনও পর্যন্ত দলত্যাগ করার মত সিদ্ধান্ত তিনি নেননি। তবে আগামী ৬ তারিখ মুর্শিদাবাদের তিনি বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। যাকে পাল্টা কটাক্ষ করে বিজেপির ঘনিষ্ঠমহলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এসব তৃণমূলের নাটক ছাড়া আর কিছু নয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন মুসলিমদের ভোট পাওয়ার জন্য হুমায়ুন কবীরকে দিয়ে পেছনের দরজা থেকে এই সমস্ত কাজ করাচ্ছেন। তবে বিজেপি যখন এই সমস্ত কথা বলছে, তখন পাল্টা জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে তাকে মসজিদ তৈরি করার ক্ষেত্রে বা শিলান্যাস করার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুললেন তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। এমনকি যারা তাকে বিজেপির দালাল বলছে, সেই প্রশাসনকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিলেন তিনি।
ইতিমধ্যেই হুমায়ুন কবীর জানিয়ে দিয়েছেন যে, আগামী ৬ তারিখ তিনি বাবরি মসজিদের শিলান্যাস করবেন। যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। তবে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে সব রকম ভাবে বাধা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলেই অভিযোগ তুলেছেন এই তৃণমূল বিধায়ক। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই আজ সেই প্রশাসনের দিকেই আঙ্গুল তুলে আরও ভয়ংকর অভিযোগ করলেন তিনি। যার ফলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে যে, তৃণমূলের একজন বিধায়ক হয়ে যেভাবে জেলা প্রশাসনকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দিলেন হুমায়ুন কবীর, তাতে তো পুলিশ মন্ত্রী হিসেবে যথেষ্ট চাপে পড়ে যাবেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই মনে করছেন একাংশ।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। আর সেখানেই তিনি বলেন, “যখন বেলডাঙায় কার্তিক পুজো হচ্ছে, কার্তিক লড়াই হচ্ছে, যখন বেলডাঙায় জগদ্ধাত্রী পুজো হচ্ছে, তখন এই মুর্শিদাবাদের পুলিশ সারি সারি ভাবে লাইন দিয়ে কিভাবে সুস্থ ভাবে পরিচালনা করা যায়, তার জন্য সবাই ব্যতিব্যস্ত। আর আমি এক বছর আগে থেকে বলেছি, বেলডাঙার কোনো একটা জায়গায় আমি বাবরি মসজিদে শিলান্যাস করব, আর তাতে তোদের গা জ্বলছে? তোরা বিজেপির দ্বারা পরিচালিত হচ্ছিস? আমাকে আবার বিজেপির দালাল বলার চেষ্টা করছে।” আর তৃণমূলেরই বিধায়ক হয়ে বাবরি মসজিদ তৈরি করা নিয়ে প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাধা পেয়ে যেভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশকেই বিজেপির দালাল বলে আক্রমণ করলেন হুমায়ুন কবীর, তাতে তৃণমূল এই বিষয়ে যে আরও অস্বস্তিতে পড়ে যাবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
