Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

Big breaking এসএসসি ভবন অভিযানের আগেই গ্রেপ্তার, মমতা পুলিশের হাতে আটক প্রতিবাদী চাকরিহারা শিক্ষক!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
আজ চাকরিহারা শিক্ষকদের পক্ষ থেকে ফের এসএসসি ভবন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। ইতিমধ্যেই সেই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছিলেন প্রতিবাদী চাকরিহারা শিক্ষক সুমন বিশ্বাস। তবে তার প্রতি যে এই রাজ্যের প্রশাসনের একটা প্রতিহিংসামূলক আচরণ কাজ করছে, তা আজ সকালেই স্পষ্ট হয়ে যায় রাজ্যবাসীর কাছে যেখানে একেবারে ভোরে সেই সুমন বিশ্বাসের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশি চালানো হয় বলে অভিযোগ করে তার পরিবার। আর তখন থেকেই আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল যে, সুমন বিশ্বাস সমস্ত প্রতিবাদী চাকরিহারাদের নিয়ে আজ এসএসসি অভিযানের ডাক দেওয়ার কারণেই হয়ত তার কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে এই রাজ্যের প্রশাসন। আর বিরোধীরা যখন এই সমস্ত আশঙ্কা করছেন, ঠিক তখনই গ্রেপ্তার করে নেওয়া হলো সেই সুমন বিশ্বাসকে।

প্রসঙ্গত, আজ এসএসসি ভবন অভিযানের কারণে ইতিমধ্যেই পুলিশের পক্ষ থেকে সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে, যাতে কোনোভাবেই সেই এসএসসি ভবনে অভিযান করা না যায়। তবে পুলিশের এই অতি সক্রিয়তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন। আর তার মাঝেই খবর পাওয়া গেল যে, সেই এসএসসি অভিযান শুরুর আগেই পুলিশের পক্ষ থেকে আটক করে নেওয়া হয়েছে প্রতিবাদী চাকরিহারা শিক্ষক সুমন বিশ্বাসকে। ইতিমধ্যেই তার পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, আদি সপ্তগ্রাম স্টেশন থেকে সুমনবাবুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তবে সব থেকে বড় প্রশ্ন যে, কি কারণে তাকে আটক করা হলো? শুধুমাত্র মেধার ভিত্তিতে পরীক্ষা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, তারপরে এখন আবার তাকে পরীক্ষা দিতে হবে, এর প্রতিবাদ করার কারণেই কি প্রশাসনের পক্ষ থেকে এইভাবে তার মুখ বন্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে?

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয় গর্জে উঠছে গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহল। তাদের বক্তব্য, এভাবেই রাজ্যের সমস্ত প্রতিবাদীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে এই রাজ্যের প্রশাসন। রাজ্যের দুর্নীতির কারণেই বহু মেধার আজকে চাকরি চলে গিয়েছে। আর যাদের অন্যায্য কারণে চাকরি চলে গিয়েছে, তারাই রাজপথে নেমেছেন। আজ সেই কারণেই এসএসসি ভবন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেই সমস্ত আন্দোলনকারীদের কণ্ঠরোধ করতেই পুলিশের পক্ষ থেকে আগেভাগেই যিনি সামনের সারিতে দাঁড়িয়ে মেরুদন্ড সোজা রেখে আন্দোলন করছেন, সেই সুমন বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে নেওয়া হলো। যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

Exit mobile version