Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

শুধু মিম নয়, বাংলায় এই দলের সঙ্গেও জোট করবেন হুমায়ুন? কোন সমীকরণে বঙ্গ রাজনীতি?

 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২৬ এর নির্বাচনের আগে কি করবেন হুমায়ুন কবীর, তা তিনি ইতিমধ্যেই স্পষ্ট করে দিয়েছেন। জানিয়ে দিয়েছেন যে, তিনি নতুন দল গঠন করতে চলেছেন। এক্ষেত্রে তৃণমূল এবং বিজেপির বিরুদ্ধে তার নতুন দল হবে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। আজ আবার আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল মিমের সঙ্গে যে তিনি জোট করেই লড়াই করবেন, সেই কথা উল্লেখ করেছেন হুমায়ুন কবীর। শুধু তাই নয়, পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে সংখ্যালঘুদের অত্যন্ত ভরসার জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে নওশাদ সিদ্দিকীর দল আইএসএফ। এক্ষেত্রে বাংলায় তৃণমূলকে জব্দ করতে আইএসএফের সঙ্গে জোট করতেও তার সমস্যা নেই বলে জানিয়ে দিলেন হুমায়ুন কবীর। পাশাপাশি বাম এবং কংগ্রেস সেই জোটে এলেও তিনি স্বাগত জানাবেন বলে জানালেন ভরতপুরের বিধায়ক।

ইতিমধ্যেই হুমায়ুন কবীরকে তৃণমূল কংগ্রেস সাসপেন্ড করেছে। আর সাসপেন্ডের দিনেই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, আগামী ২২ তারিখ তিনি নতুন দলের ঘোষণা করবেন। কি নাম হবে তার নতুন দলের, তা তিনি এখনও পর্যন্ত প্রকাশ করেননি। তবে আজ আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল মিমের সঙ্গে তার যে কথা হয়েছে এবং তিনি নতুন দল গঠন করার পর যে সেই দলের সঙ্গে জোট করতে চলেছেন, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন হুমায়ুনবাবু। অর্থাৎ সংখ্যালঘু ভোটের সমস্তটাই নিজের দিকে টানতে চাইছেন তিনি। আর ভরতপুরের বিধায়কের এই মন্তব্যের পরেই প্রশ্ন উঠেছিল যে, তাহলে পশ্চিমবঙ্গের বুকে সংখ্যালঘুদের অত্যন্ত কাছের দল হয়ে উঠছে নওশাদ সিদ্দিকীর আইএসএফ। তাদের নিয়ে হুমায়ুনবাবুর কি সিদ্ধান্ত? তিনি কি সেই আইএসএফকেও পাশে চাইছেন?

এদিন হুমায়ুন কবীর বলেন, “মিম তো ফাইনাল। এর সঙ্গে যদি আইএসএফ আসে, তাহলে স্বাগত জানাবো। বামফ্রন্টের নেতারা থাকতে চাইলে আমার আপত্তি নেই। কংগ্রেসকে নিয়েও আপত্তি নেই। সকলকে নিয়ে আমার একটাই টার্গেট, বিজেপিকে বাংলার ক্ষমতায় আসতে না দেওয়া এবং আরএসএস মার্কা এই মুখ্যমন্ত্রীকে ক্ষমতাচ্যুত করা।” অর্থ্যৎ তৃণমূলের সমস্ত সংখ্যালঘু ভোটে থাবা বসিয়ে একদিকে মিম, অন্যদিকে আইএসএফকে সাথে নিয়ে চলতে চাইছেন হুমায়ুন কবীর। শুধু তাই নয়, এক্ষেত্রে বাম এবং কংগ্রেস যদি তাদের সঙ্গে আসে, তাহলে যে লড়াই আরও তীব্র হবে, সেই কথা স্পষ্ট করে দিয়েছেন ভরতপুরের বিধায়ক। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি সত্যিই তৃণমূলের সঙ্গে কোনো সেটিং না থাকে হুমায়ুনবাবুর এবং তিনি যদি মন থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করেন, তাহলে এক্ষেত্রে তিনি যদি সবাইকে পাশে পান, তাহলে সব থেকে বড় চাপে পড়বে এই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কেননা বিজেপি সংখ্যালঘুদের ভোটে এমনিতেই পায় না। তবে তৃণমূলের চাপ বাড়িয়ে সংখ্যালঘুদের যে একটা বড় অংশ হুমায়ুনবাবু যদি এই জোট করতে পারেন তাহলে সেই দিকেই যে যাবে, সেই ব্যাপারে দ্বিমত নেই রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

Exit mobile version