Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

শুধু পিতৃপুরুষ নয়, রাজনৈতিক হিংসায় প্রাণ হারানো বিজেপি কর্মীদের জন্যেও তর্পন শমীকের!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গতকাল ছিল মহালয়া। আর এই মহালয়ার ভোরে আমরা সকলেই পিতৃপুরুষের আত্মার শান্তি কামনায় তর্পণ করি, তাদের জলদান করি। এটাই হিন্দু শাস্ত্রের রীতি। তবে পিতৃ পুরুষের প্রতি জলদান করার পাশাপাশি তিনি বিজেপি দলের এই বঙ্গের রাজ্য সভাপতি। তাই তার দায়িত্ব এবং কর্তব্য রয়েছে, তার যে রাজনৈতিক পরিবার, সেই রাজনৈতিক পরিবারের যারা প্রাণ হারিয়েছেন, এই মহালয়ার দিনে তাদের প্রতিও শ্রদ্ধা নিবেদন করার। তাই মহালয়ার দিনে শুধুমাত্র নিজের পিতৃপুরুষের প্রতি শ্রদ্ধা অর্পণ করা নয়, বাগবাজার ঘাটে গিয়ে ২০১১ সালে তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকে রাজনৈতিক হিংসায় যে সমস্ত বিজেপি কর্মীরা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের সকলের প্রতি জলদান করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।

ইতিমধ্যেই গোটা রাজ্যবাসী জেনে গিয়েছে যে, তৃণমূল সরকারের আমলে বিরোধী দলের নেতা কর্মীরা কতটা অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন! প্রতিনিয়ত কিভাবে তাদের ওপর হামলা হচ্ছে! এমনকি ২০২১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় আসার পর যেভাবে ভোট পরবর্তী হিংসা হয়েছে এবং যেভাবে প্রচুর বিরোধী দলের নেতা কর্মীরা খুন হয়েছেন, তা কল্পনাতীত। কিছুদিন আগেই নবদ্বীপে সঞ্জয় ভৌমিক গ্রামে আরও এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক হিংসা এবং রাজনৈতিক হিংসায় বিরোধী দলের নেতা কর্মীদের প্রাণ হারানোর মত ঘটনা লেগেই রয়েছে। তাই মহালয়ার দিনকে বেছে নিয়ে যখন সকলেই পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে দর্পণ করে, তখন দলের যারা প্রাণ হারিয়েছেন, রাজনৈতিক হিংসায় যারা স্বর্গবাসী হয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি।

গতকাল বাগবাজার ঘাটে মহালয়ার দিনে তর্পণ করতে আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য। যেখানে পিতৃপুরুষ এবং দলীয় যারা কর্মী, যারা হিংসায় প্রান হারিয়েছেন, তাদের উদ্দেশ্যে জলদান করেন তিনি। আর তারপরেই সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “এটা তো শুধু পিতৃ পুরুষের উদ্দেশ্যে তর্পণ নয়। যারা নশ্বর দেহ ত্যাগ করে চলে গিয়েছেন, তাদের সকলের উদ্দেশ্যে এই ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় রীতি বজায় রেখেই এই তর্পণ। আর আমি যে পরিবারের সদস্য, আমার পরিবার মানে আমার পার্টি। গত ১০ বছরে আমাদের যত শহীদ হয়েছেন, সেই সংখ্যাটা এখনও পর্যন্ত ২৮৭। ২০২১ এর নির্বাচনের পরে ২৭ দিনে ৫৬ জন কর্মী খুন হয়েছেন। তাদের প্রত্যেকের স্মৃতিচারণ এবং তাদের উদ্দেশ্যে জল অর্পণ করাটাই আজকের কাজ।”

Exit mobile version