Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

শুধুই প্রতিক্রিয়া! এত কিছুর পরেও পদক্ষেপ নেবেন কবে? দুর্গাপুর কান্ডে রাজ্যপালের মন্তব্যের পরেই উঠছে প্রশ্ন!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার যে যথেষ্ট অবনতি হয়েছে, তা আর নতুন করে বলতে হবে না। একের পর এক ঘটনার মধ্যে দিয়ে প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে যে, এই রাজ্যে প্রশাসন বলে কিছু নেই। আর প্রত্যেকটি ঘটনার পর রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপাল রিপোর্ট পাঠানো হবে বা রিপোর্ট তৈরি করা হচ্ছে, এই সমস্ত মন্তব্য করেই বসে থাকেন। কিন্তু তার পক্ষ থেকে যে একটা বড় পদক্ষেপ আশা করছে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ, তেমনটা কিন্তু এখনও পর্যন্ত কেউ দেখতে পায়নি। যার ফলে বিরোধীরাও অনেকে রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে অনেক সময় আকার ইঙ্গিতে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। এবারেও দুর্গাপুর গণধর্ষণ কাণ্ডের পর যখন গোটা রাজ্য উত্তাল, যখন সকলেই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন, তখন আবারও অতীতের মতই প্রত্যেকটি ঘটনা শেষে যেমন মন্তব্য করতে দেখা যায়, এক্ষেত্রেও ঠিক তেমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যপাল।

ইতিমধ্যেই দুর্গাপুর গণধর্ষণ কাণ্ডের ঘটনা গোটা বাংলাকে লজ্জার মুখে ফেলে দিয়েছে বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এক তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে তা গোটা দেশের কাছে সমালোচনার বাতাবরণ তৈরি করেছে কেননা যে পরিবার সঙ্গে এই ঘটনা ঘটেছে সে ওড়িশার বাসিন্দা স্বাভাবিকভাবেই বাংলায় আরজি করার পরে আরও একটি এরকম ঘটনা সামনে আসার পর রাজ্যের বিরোধী দল সোচ্চার তাদের প্রত্যেকের বক্তব্য যে রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে মহিলারা নিরাপদ নন। আর এইরকম একটা পরিস্থিতিতে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান কেন নীরবতার ভূমিকা পালন করছেন তা নিয়েও অনেকের মধ্যে প্রশ্ন রয়েছে। আর তার মধ্যে এবার প্রতিক্রিয়া দিলেন রাজ্যপাল।

এদিন দুর্গাপুর গণধর্ষণ কাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে মুখ খোলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। যেখানে তিনি বলেন, “এটি কোনো প্রথম ঘটনা নয়। এমন ঘটনা আগেও ঘটেছে। দোষীদের কঠোর শাস্তি হোক। আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্ব পুলিশের। কোথাও ঘাটতি রয়ে যাচ্ছে। বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা দরকার।” আর এখানেই প্রশ্ন যে, রাজ্যপাল যেমন বলছেন যে, এরকম ঘটনা আগেও ঘটেছে, ঠিক তেমনই প্রত্যেকটি ঘটনার পরে তো তিনিও বলেছেন যে, কড়া পদক্ষেপ হোক। ফলে তার এই বক্তব্য আর কতদিন চলবে? এবার তো তাকে রিপোর্ট পাঠানো বন্ধ করে এই সরকারের বিরুদ্ধে যাতে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়, তার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে হবে। তিনি সেটা কবে করবেন? পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যে তৃণমূল সরকারের ওপরে বিরক্ত, এখানে যে মানুষের নিরাপত্তা, মহিলাদের নিরাপত্তা বলতে কিছু নেই, তা তো স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এরপরেও যদি রাজ্যপাল শুধুমাত্র প্রতিক্রিয়া দিয়েই বসে থাকেন, তাহলে তা রাজ্যের মানুষের কাছে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক হবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

Exit mobile version