Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

শুভেন্দুকে যা ইচ্ছে, তাই বলে আক্রমণ! এরপরেও শাস্তি হবে না তৃণমূলের শীর্ষ নেতার?

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের বুকে এখন তৃণমূল দল করতে গেলে রাজনীতি না করলেও চলবে। কিন্তু একটা কাজ আপনাকে করতেই হবে। আপনি যদি তৃণমূল করেন, তাহলে আপনাকে যত বেশি পারবেন, তত বেশি করে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করতে হবে। রাজনৈতিক আক্রমণ নয়, যদি সেটা ব্যক্তিগত আক্রমণ হয় এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে শালীনতার মাত্রা অতিক্রম করে যায়, তাহলে তো আরও ভালো। যত বেশি করে শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণের ক্ষেত্রে আপনি শালীনতার মাত্রা অতিক্রম করে যাবেন, তত বেশি করে তৃণমূল দলের কাছে আপনার পয়েন্ট বাড়বে এবং আপনি বড় মাপের কোনো নেতা হয়ে যেতে পারেন। বিরোধীরা এমন কথা বলছে, তার পেছনে যথেষ্ট কারণ রয়েছে। কারন, শুভেন্দু অধিকারী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ২০২১ এর নির্বাচনে পরাজিত করেছেন। আর সেই হার কোনোমতেই মেনে নিতে পারছেন না এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। ভেতরে ভেতরে তার যে যন্ত্রনা হচ্ছে, তা মেটানোর জন্য তিনি এবং তার প্রশাসন সব রকম ভাবে শুভেন্দু অধিকারীকে কাবু করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু সেখানেও তারা ডাহা ফেল। তাই এখন একটাই উপায়, যত পারো শুভেন্দু অধিকারীকে ব্যক্তি আক্রমণ করো। তৃণমূল নেতাদের মধ্যে এখন সেই প্রবণতাই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে যে, এই একই কাজ যদি বিজেপির কোনো নেতা শাসক দলের কোনো নেতা বা নেত্রীর উদ্দেশ্যে করে, তাহলে কি সেটা সমীচীন হবে? বলা ভালো, সেটাকে কি মেনে নেবে এই রাজ্যের প্রশাসন? তখন তো তারা স্বতঃ প্রণোদিত মামলা করে, বিন্দুমাত্র সমালোচনাকে গ্রহণ না করে উল্টে বিরোধী নেতার বিরুদ্ধেই মামলা শুরু করে দেবে। কিন্তু যা বিরোধী নেতার ক্ষেত্রে শুরু হয়, তা কেন শাসক নেতার ক্ষেত্রে হবে না?

ইতিমধ্যেই তৃণমূলেরই গুণধর নেতা, যিনি অত্যন্ত বড় মাপের নেতা, তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে প্রকাশ্য সভা থেকে কুৎসিত আক্রমণ করেছেন। শুধু শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ নয়। একটি রাজনৈতিক দল সম্পর্কে কথা বলতে গেলে, সে যতই বিরোধী রাজনৈতিক দল হোক, তাকে যে সম্মানজনকভাবে রাজনৈতিক আক্রমণ করতে হয়, সেটাও হয়তো ভুলে গিয়েছেন তৃণমূলের নেতা দেবু টুডু। জানোয়ার থেকে শুরু করে অসভ্য, বর্বর সমস্ত প্রকৃতির শব্দ ব্যবহার করে বিজেপিকে আক্রমণ করেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই সেই ভিডিও ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। আর তারপরেই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছেন যে, এবার এই দেবু টুডুকে কবে গ্রেফতার করবে পুলিশ? তবে বিরোধীদের এই বোকা বোকা প্রশ্নকে মোটেই গুরুত্ব দিচ্ছে না বিশেষজ্ঞরা। এখন জনতা জনার্দন বলতেই পারেন যে, বিরোধীরা তো সঠিক প্রশ্নই তুলছে। তাহলে এটাকে বোকা, বোকা বলে অভিহিত করা হচ্ছে কেন?

বিশেষজ্ঞদের যুক্তি, বোকা, বোকাই তো‌। এই রাজ্যের পুলিশের ঘাড়ে কটা মাথা আছে যে, তৃণমূলের এই নেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে? আরে বাবা, যে পুলিশ নিজেদের মা, বউয়ের অপমান পর্যন্ত সহ্য করে নেয়, যে পুলিশ জেল খেটে আসা এক তৃণমূল নেতার বকুনি পর্যন্ত সহ্য করে নেয়, সেই পুলিশ আর আর কি করে এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে? তাও সেই তৃণমূল নেতা শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণ করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই তার বিরুদ্ধে যদি কোনো পুলিশ ব্যবস্থা নেয়, তাহলে সেই পুলিশেরই চাকরি থাকবে কিনা, এটাই তো একটা বড় প্রশ্ন। আসলে এই রাজ্যে প্রশাসন নয়, সবটাই তৃণমূল তন্ত্র। যার ফলস্বরূপ, তৃণমূল যত বেশি শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপিকে কুৎসিত আক্রমণ করবে, ততই সেই সমস্ত তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে অ্যাকশন না নিয়ে তাদের আরও বেশি করে প্রশ্রয় দিয়ে যাবে প্রশাসন। কটাক্ষ করে তেমনটাই বলছে বিরোধীরা।

Exit mobile version