প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
অনেক হয়েছে, আর সহ্য নয়। ২০২৬ এর নির্বাচনের আগে যে অসভ্যতা তৃণমূল কংগ্রেস শুরু করলো, তাতে কি তাদের কফিনে এবার শেষ পেরেক পোতার কাজ শুরু করে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ? ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক ইস্যুতে বারবার করে বাংলায় এসে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বুঝিয়ে দিয়েছে যে, এবার তাদের টার্গেট পশ্চিমবঙ্গ। তবে আজ সেই অমিত শাহের অত্যন্ত স্নেহভাজন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে যেভাবে হামলা হয়েছে কোচবিহারে, তাতে রাজ্যকে একটা উচিত শিক্ষা দেওয়া উচিত, এমনটাই বিজেপির নেতা কর্মীদের মনের মধ্যে আওয়াজ উঠেছিল। অবশেষে তা বুঝতে পেরেই কি গোটা ঘটনায় এবার কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক?
বস্তুত, এদিন কোচবিহারের খাগড়াবাড়িতে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে হামলা হয়। যে ঘটনায় তার বুলেটপ্রুফ গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়। অল্পের জন্য রক্ষা পান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর সেই খবর গিয়ে পৌঁছয় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে। ইতিমধ্যেই গোটা ঘটনা জানতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে ফোন করে বিস্তারিত খবর নেওয়া হয়েছে। আর সেই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতেই প্রশ্ন উঠছে যে, তাহলে কি এবার রাজ্যের বিরোধী দলনেতার ওপর এই ধরনের আক্রমণের ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে কেন্দ্র?
বিজেপির ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, অবিলম্বে কেন্দ্রীয় সরকারকে গোটা ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত। প্রতিমুহূর্তে রাজ্যের বিজেপি কর্মীদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। রাজ্যে আইনের শাসন নেই। আর এবার সমস্ত লিমিট ক্রস করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার কনভয়ে পর্যন্ত হামলা হয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় সরকার এই রাজ্যে সুশাসন ফেরাতে পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে রাজ্যের সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বলতে কিছু থাকবে না। শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে যে হামলার ঘটনা ঘটেছে, তাতে যারা এর সঙ্গে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে জড়িত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নেওয়া উচিত বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রাজ্যে এতদিন পর্যন্ত যে সমস্ত ঘটনা ঘটেছে, তার প্রত্যেকটি রিপোর্ট কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে গিয়েছে। আইনের শাসন যেভাবে পশ্চিমবঙ্গে ভেঙে পড়েছে, সেই সম্পর্কে যথেষ্ট তথ্য কেন্দ্রের কাছে রয়েছে। কিন্তু তারপরেও তারা এই তৃণমূল সরকার ঠিক কতটা ঔদ্ধত্য দেখাতে পারে, তা মাপতে শুরু করেছিল কেন্দ্র। তবে এবার হয়ত সমস্ত সীমারেখা লংঘন করে গেল তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী। যেভাবে শুভেন্দু অধিকারীর কনভয়ে হামলা হলো, ২০২৬-এর নির্বাচনের আগে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এবার হয়ত অমিত শাহের দপ্তর অর্থাৎ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক নিতে পারে কড়া পদক্ষেপ। আর যদি সত্যিই সেই পদক্ষেপ হয়, তাহলে তা রাজ্যে আইনের শাসন ফেরাতে অত্যন্ত সদর্থক পদক্ষেপ যেমন হবে, ঠিক তেমনই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে কড়া ট্রিটমেন্ট শুরু হলে তৃণমূলের গুন্ডাদের মাতব্বরি এক সেকেন্ডেই বন্ধ হয়ে যাবে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।