প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
যে সেনাবাহিনী দেশ গঠনের কাজে সব থেকে বেশি অগ্রণী ভূমিকা পালন করে, যারা বারবার ভারতকে রক্ষা করেছে, সেই সেনাবাহিনী নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেয়ো রোডে আসার পরেই তাকে দেখে পালিয়ে গিয়েছে! গতকাল এইরকমই একটি মন্তব্য করতে শোনা গিয়েছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। স্বাভাবিকভাবেই দেশের সেনাবাহিনীকে মুখ্যমন্ত্রী এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে অত্যন্ত ছোট এবং অপমান করেছেন বলেই দাবি করছেন সাধারণ মানুষ। একজন মুখ্যমন্ত্রী নিজেকে বড় করতে গিয়ে আর কত অপমান করবেন সেনাবাহিনীকে? আর কত অপমান করবেন দেশকে, তা নিয়েও উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই এবার সেনাবাহিনীতে মুখ্যমন্ত্রীর অপমান নিয়ে রাতেই মেয়ো রোডে প্রতিবাদে নামলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী যেভাবে সেনাবাহিনী তাকে দেখে পালিয়ে গিয়েছে বলে মন্তব্য করেছিলেন, তার পাল্টা জবাব দিলেন তিনি।
প্রসঙ্গত, গতকাল মেয়ো রোডের যে জায়গা থেকে মুখ্যমন্ত্রী সেনাবাহিনীকে অপমান করেছিলেন, সেই জায়গাতেই জাতীয় পতাকা হাতে প্রতিবাদ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে জাতীয় পতাকা হাতে করে সেনাবাহিনীর পক্ষে স্লোগান দেন তিনি। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকেও সেনাবাহিনীকে অপমান করার জন্য কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। স্পষ্ট ভাষায় শুভেন্দু অধিকারী বুঝিয়ে দেন যে, মুখ্যমন্ত্রী এমন কেউ নন যে, তাকে দেখে সেনাবাহিনী ভয়ে পালিয়ে যাবে। তিনি সেনাবাহিনীকে চূড়ান্ত অপমান করেছেন বলে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠেন বিরোধী দলনেতা।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী রাষ্ট্রবিরোধী কাজ করেছেন। বলছেন, ২০০ জন সেনা নাকি ওনাকে দেখে পালিয়ে গিয়েছে! ভারতীয় সেনা মমতা ব্যানার্জিকে দেখে পালায় না। এই সেনা পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। এই সেনা ৭১ এ বিজয় দিবস করেছিল। আপনি পারেন না তাকে অপমান করতে। আপনার ভাষার সংযত করুন মুখ্যমন্ত্রী। আপনি ক্ষমা চান।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করতে করতে এমন একটা জায়গায় এমন কিছু বলে ফেলেন, যার ফলে তিনি নিজেই বিতর্কের মধ্যে পড়ে যান। গতকাল তিনি সেনাবাহিনীকে নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তাতে রীতিমত গর্জে উঠছে দেশপ্রেমীরা। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সেই মন্তব্যের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীকে অপমানের পরিপ্রেক্ষিতে মেয়ো রোডেই জাতীয় পতাকা হতে মুখ্যমন্ত্রীকে ভাষা সংযত করার বার্তা দিয়ে ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।