Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

তমলুকের তৃণমূল নেতার কান ধরে ওঠবস, শুনেই যা বলে ফেললেন শুভেন্দু!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
তমলুক পৌরসভার তৃণমূলের কাউন্সিলর পার্থসারথি মাইতি। তিনি সম্প্রতি একটি ফেসবুক লাইভ করে, কান ধরে ওঠবস করে রাজ্যের মানুষের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন। তিনি তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে এই বিষয়টি তুলে ধরেছেন এবং বোঝানোর চেষ্টা করেছেন যে, তৃণমূলেরই কিছু নেতা টাকা নিয়েছে, যারা শুভেন্দু অধিকারীর কথা মত চলছে। তাই তারা যেহেতু তাদের দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ করছে না, তাই তিনি তাদের হয়ে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছেন। অর্থাৎ নিজে সাধু সেজে বোঝানোর চেষ্টা করছেন যে, তিনি গোটা ঘটনার জন্য অত্যন্ত দুঃখিত। আর তৃণমূলের কাছে নম্বর বাড়ানোর জন্য স্বাভাবিকভাবেই শুভেন্দু অধিকারীকে দোষারোপ না করলে তো হবে না! তাই কান ধরে ওঠবস করে তৃণমূলের একটা অংশকে দুর্নীতির জন্য আক্রমণ করার পাশাপাশি শুভেন্দু অধিকারীকেও আক্রমণ করতে ছাড়লেন না এই তৃণমূল কাউন্সিলর। আর সেই ঘটনা নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতেই পাত্তাই দিলেন না রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, গোটা রাজ্য এখন তোলপাড়, এসএসসির পক্ষ থেকে যে দাগি অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেই বিষয়টি নিয়ে। স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, রাজ্য দুর্নীতি করেছে। আর সেই কারণে তাদেরই সংস্থা এসএসসি এই দুর্নীতির বিষয়টি ফাঁস করে দিয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই কারা এই দুর্নীতি করে চাকরি দিয়েছে, কারা অযোগ্যদের সুযোগ সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে, তা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। আর তার মধ্যেই তমলুক পৌরসভার তৃণমূলের এক কাউন্সিলর নিজেকে সাধু প্রমান করে ফেসবুক মারফত কান ধরে ওঠবস করা শুরু করেছেন। আক্রমণ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও। স্বাভাবিক ভাবেই শুভেন্দুবাবু কি বলেন, তার দিকে সকলের নজর ছিল। আর সেই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে পাল্টা বড় কথা জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।

এদিন তৃণমূল নেতা পার্থসারথি মাইতির কান ধরে ওঠবস করা প্রসঙ্গে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করা হয়। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, “আরে ছাড়ুন তো, ওইসব বাদ দিন। আপনারা যাকে তাকে আমার সঙ্গে কম্পেয়ার করবেন না। ওর বাবা চিত্তরঞ্জন মাইতিকে জিজ্ঞেস করে নেবেন।” আর শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্যেই কিন্তু স্পষ্ট হয়ে গেল, তিনি পাত্তাই দিলেন না এই তৃণমূল নেতাকে। বিরোধীদের দাবি, এই তৃণমূল নেতা নিজেই হয়ত বেশি দুর্নীতিতে জড়িত। সেই কারণে নিজে এখন জনতার রোষানল থেকে বাঁচতে আগেভাগেই কান ধরে ওঠবস করে সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছেন। আর আক্রমণ করছেন শুভেন্দু অধিকারীকে। কটাক্ষ করে তেমনটাই বলছে বিরোধীরা।

Exit mobile version