Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

তৃনমূলের সাড়ে সর্বনাশ, এই খবর পেয়েই লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে গেল মমতার! তছনছ ঘাসফুল!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- গোটা রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের সাজানো বাগান। আর সেই সাজানো বাগানে এবার ঘটে গেল বিপর্যয়। সমস্ত জায়গায় গায়ের জোরে কারচুপি করে তৃণমূল কংগ্রেস বিভিন্ন নির্বাচনে জেতে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। কিন্তু এবার বহু চেষ্টা করেও পূর্ব মেদিনীপুরের এক সমবায়ে জিততে পারল না তৃণমূল কংগ্রেস। বিজেপির কাছে পরাজিত হতে হলো তাদের। আর এই খবর সামনে আসার পরেই একেই তো এই পূর্ব মেদিনীপুর শুভেন্দু অধিকারী জেলা, তার মধ্যে সেই জেলাতে একটি সামান্য সমবায় পরাজয় রীতিমত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে প্রেস্টিজ ইস্যু বলেই মনে করছেন একাংশ।

জানা গিয়েছে, ভগবানপুর বিধানসভার অন্তর্গত ভগবানপুর ২ নম্বর ব্লকের কুঞ্জপাড়া সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির পরিচালকমন্ডলী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। আর সেই নির্বাচনেই ৯ টি আসনের মধ্যে ৯ টিতেই জয়লাভ করে ভারতীয় জনতা পার্টি। বলা বাহুল্য, একসময় এই সমবায়টি তৃণমূলের দখলে ছিল। কিন্তু এবার তা বিজেপি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নিয়ে নেওয়ায় তৃণমূলের মুখ কার্যত শুকিয়ে যাওয়ার জোগাড়।

এদিকে তৃণমূলের হাত থেকে এই সমবায় সমিতি গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে কারচুপি না করে ভোটে জিতে আসার আনন্দে রীতিমত উচ্ছ্বসিত গেরুয়া শিবির। এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন, “সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরেছে যে, তৃণমূলের হাতে যদি বোর্ড থাকে, তবে এই সমবায় সুরক্ষিত থাকবে না। তাই বিজেপির হাতে এই সমবায় তুলে দিয়েছে সাধারণ মানুষ। এই রায় বুঝিয়ে দিয়েছে, সন্ত্রাস দিয়ে মানুষের মন জয় করা সম্ভব নয়।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, একেই তো জেলাটার নাম পূর্ব মেদিনীপুর। এই জেলার অন্তর্গত নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত হতে হয়েছে। তারপর থেকেই তিনি প্রতিশোধের আগুনে জ্বলছেন। আর তার মধ্যেই বিধানসভা নির্বাচনের আগে সেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একটি সমবায়ে তৃণমূল কংগ্রেসের এইভাবে বিজেপির কাছে শোচনীয় পরাজয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের লজ্জায় মাথা হেঁট হয়ে যাওয়ার অন্যতম বড় কারণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Exit mobile version