Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

Big breaking তৃণমূলের ঘুম উড়লো বলে? বাংলা নিয়ে চিরাগের মুখে ভয়ংকর কথা! জানলে চমকে যাবেন!

 

 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
বিহার জয়ের পর তৃণমূলের মধ্যে টেনশনের মাত্রা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসআইআরকে বন্ধ করার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন। নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিচ্ছেন, তার দলের নেতারা বলছেন যে, এসআইআর হওয়ার কারণে নাকি বিএলওদের মৃত্যু হচ্ছে, তারা নাকি মানসিক চাপ সহ্য করতে পারছেন না। ইত্যাদি অনেক কথা তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে। কিন্তু বিজেপি সেই সমস্ত কিছুকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। বঙ্গ বিজেপির নেতারা নিশ্চিত হয়ে রয়েছেন যে, এসআইআর যদি ঠিকমত হয়, অবৈধ ভোটারদের নাম যদি বাদ যায়, তাহলে তৃণমূল এমনিতেই ক্ষমতা থেকে সরে যাবে। তবে এতদিন বঙ্গ বিজেপির কর্মীদের মধ্যে একটা সংশয় ছিল যে, তারা তো লড়াইটা করছেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় বিজেপি তাদেরকে শেষ পর্যন্ত সাথ দেবে তো? ২০২১ এর পুনরাবৃত্তি হয়ে যাবে না তো ২০২৬ এর নির্বাচনে? তাহলে ভোটের পর তো তারা বাড়িতে থাকতে পারবেন না। কারণ যে পরিমাণ সন্ত্রাস হবে, অতীত অভিজ্ঞতা থেকে তেমনটাই আশঙ্কা করছেন বিজেপির নীচুতলার কর্মীরা। তবে তাদের সমস্ত আশঙ্কা দূর হয়ে গিয়েছে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের পর। একের পর এক কেন্দ্রীয় বিজেপির নেতারাও প্রতিনিয়ত এখন বাংলার কথা উল্লেখ করে বুঝিয়ে দিচ্ছেন, বিহারের পর এবার বাংলা দখল করাই তাদের প্রধান টার্গেট। আর এবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা এনডিএর শরিক দল লোক জনশক্তি পার্টির চিরাগ পাসওয়ানের মুখেও শোনা গেল বাংলা নিয়ে বড় কথা।

এতদিন পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে কেন্দ্রীয় বিজেপি কি ভাবছে? তাদের চিন্তা ভাবনা কি! তা নিয়ে একটা সংশয় ছিল বঙ্গ বিজেপির নীচুতলার কর্মীদের মধ্যে। অনেকেই বলতে শুরু করেছিলেন যে, এত প্রতিবাদ হচ্ছে, বিজেপির কর্মীরা এত মার খাচ্ছে, তা সত্ত্বেও কেন কেন্দ্রীয় বিজেপি পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে সিরিয়াস নয়? কেন তারা বাংলার জন্য কোনো কড়া ট্রিটমেন্ট প্রয়োগ করছেন না? তবে এতদিন পশ্চিমবঙ্গের ঘটনা নিয়ে তেমনভাবে কেন্দ্রীয় বিজেপির পক্ষ থেকে কিছু বলা না হলেও বা সেভাবে বলা হলেও তা খবরের শিরোনামে হয়ত আসেনি। কিন্তু বিহারের নির্বাচনে রেকর্ড জয়ের পর বিজেপি দল তো বটেই, এনডিএতে যারা যারা রয়েছেন, তারা সকলেই মনোনিবেশ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির দিকে। আর গোটা এনডিএ শিবির যে এবার বাংলায় ক্ষমতা বদলের জন্য প্রহর গুনছেন এবং তার জন্য যে তারা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবেন, তা স্পষ্ট হয়ে গেল চিরাগ পসওয়ানের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে। যার ফলে বোঝাই যাচ্ছে যে, এবার একে তো বিজেপিতে রক্ষা নেই। তার মধ্যে এনডিএর শরিক দলগুলোও যেভাবে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতা পরিবর্তনের ব্যাপারে তৃণমূলের বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিচ্ছেন, তাতে এই চাপ সামলানোর মত ক্ষমতা আঞ্চলিক দল তৃণমূলের সর্বভারতীয় নেতাদের অন্তত নেই বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ান। আর সেখানেই বাংলা দখলের হুঙ্কার দেন তিনি। লোক জনশক্তি পার্টির এই শীর্ষ নেতা বলেন, “বিহার হয়েছে। এবার আসাম এবং পশ্চিমবঙ্গ দখলের পথে আমরা এগোচ্ছি। বিহার জয় করেছি, এবার বাংলা জয় করব।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিজেপি যদি একাই বাংলার দিকে মনোযোগী হয়, তাহলেই তৃণমূল টিকে থাকতে পারবে না। বিহারের নির্বাচনের পর বোঝা যাচ্ছে যে, কেন্দ্রীয় বিজেপি বাংলা নিয়ে কতটা সিরিয়াস। আর তার মধ্যে গোদের উপর বিষফোঁড়া হিসেবে যদি এনডিএ শিবিরে থাকা এই চিরাগ পাসওয়ানের দলের মত সমস্ত দল বাংলায় বিজেপির হাতে ক্ষমতা দিতে এবং পরিবর্তনের লক্ষ্যে একের পর এক হুঙ্কার ছাড়তে শুরু করেন এবং সেই ভাবে সঙ্ঘবদ্ধ হয়ে গোটা এনডিএ শিবির কাজ শুরু করে, তাহলে ২৬ এর নির্বাচনে আদৌ তৃণমূলকে খুঁজে পাওয়া যাবে তো? চিরাগ পাসওয়ানের বাংলা দখলের হুঙ্কারের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Exit mobile version