Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

তৃণমূল সাংসদ মহুয়ার কাছেও একমাত্র ভরসা নরেন্দ্র মোদী? এই ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে তৃণমূল!

 

 

 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
দিল্লি বিস্ফোরণ কান্ড নিয়ে রীতিমত আলোড়ন পড়ে গিয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। জাতীয় রাজনীতি তো বটেই, পশ্চিমবঙ্গেও তার প্রভাব পড়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন নেতা নেত্রীরা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হচ্ছেন। তৃণমূলের বিভিন্ন সাংসদ থেকে শুরু করে নেতারা প্রশ্ন তুলছেন দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়ে। অনেকে আবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ পর্যন্ত দাবি করেছেন। মুখ খুলেছেন তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রও। তবে যারা এখন দেশের নিরাপত্তা নিয়ে এত বেশি করে প্রশ্ন তুলছেন, তারা তো একসময় কংগ্রেস সরকারের শরিক ছিলেন। তখন দেশে যত বিস্ফোরণ হত, এখন তো তার সিকি ভাগও হয় না। ফলে এই একটা বিস্ফোরণ হওয়াতেই যারা এত বেশি চিৎকার চেঁচামেচি করছেন, তাদের এই আর্তনাদই বুঝিয়ে দিচ্ছে যে, দেশের নিরাপত্তা রক্ষা করার মত, দেশকে রক্ষা করার মত যদি কেউ থেকে থাকেন, তাহলে তার নাম নরেন্দ্র মোদী। তাই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা নেত্রীরা কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে এই দিল্লি বিস্ফোরণের পরে চিৎকার চেঁচামেচি করলেও, আদতে তাদের এই আর্তনাদ নরেন্দ্র মোদীর প্রতি যে তাদের একমাত্র ভরসা রয়েছে, তার একটা বড় প্রমাণ বলেই দাবি করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।

ইতিমধ্যেই দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনার পরেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে একাধিক নেতা নেত্রীরা একাধিক কথা বলতে শুরু করেছেন।‌ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে শুরু করেছেন তৃণমূল কর্মীরা। তবে বিজেপি পাল্টা যুক্তি দিচ্ছে যে, এর আগেও তো অনেক সরকার ভারতবর্ষে ছিল। তাদের সময় তো কথায় কথায় এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটতো। কিন্তু ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদীর সরকার ক্ষমতায় আসার পর এইরকম বিস্ফোরণের ঘটনা প্রায় হয় না বললেই চলে। কিন্তু একটি ঘটনার পরেই যেভাবে বিরোধীরা রাস্তায় নেমেছে, তাতেই বোঝা যাচ্ছে যে, এই বিস্ফোরণের ঘটনা বন্ধ করার ক্ষেত্রে নরেন্দ্র মোদী এবং তার সরকারের যে দক্ষতা, তা নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুলতে পারে না। তবে যে কোনো কারণেই হোক, একটি ঘটনার পরে তৃণমূল যে চিৎকার চেঁচামেচি করছে, তাতে তৃণমূলেরও যে ভরসার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে নরেন্দ্র মোদী এবং তিনি থাকলেই যে গোটা দেশ সুরক্ষিত থাকবে, তা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে মহুয়া মৈত্র এবং তৃণমূলের অন্যান্য নেতা নেত্রীদের মন্তব্যে বলেই পাল্টা কৌশলী মন্তব্য করলেন সুকান্ত মজুমদার।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। আর সেখানেই তৃণমূলের পক্ষ থেকে দিল্লি বিস্ফোরণের ঘটনা নিয়ে যে সমস্ত কটাক্ষ, যে সমস্ত আক্রমণ কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের উদ্দেশ্য করা হচ্ছে এবং মহুয়া মৈত্র পর্যন্ত যেভাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দিকে আঙুল তুলেছেন, সেই বিষয় নিয়ে তাকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই প্রশ্নের উত্তরে সুকান্তবাবু বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসকে বলছি, আপনারা তথ্য নিয়ে আসুন। আপনারা যখন ইউপিএ সরকারে ছিলেন, তখন কতগুলো বোম বিস্ফোরণ হয়েছিল! দেখুন, দেশের মানুষের ভরসা মোদীজির কাছে আছে। এমনকি তৃণমূলেরও ভরসা মোদিজীর কাছে আছে। এক সময় এত বোম বিস্ফোরণ হতো যে, মনে হতো, বোম তো থাকবেই। চকলেট বোমের মত গা সওয়া হয়ে গিয়েছিল। এখন মোদিজীর সময়ে কাশ্মীর বাদে একটি ঘটনা ঘটেছে এবং সেটাও অনেক বড় ঘটনা থেকে আটকানো সম্ভব হয়েছে। আর সেই কারণে মোদিজীর ওপর তৃণমূলেরও ব্যাপক আস্থা আছে। এমনকি মহুয়া মৈত্ররও আস্থা আছে। যে মহুয়া মৈত্রদের আমলে এক সময় মাসে মাসে বোমা বিস্ফোরণ হতো। অর্থাৎ মহুয়া মৈত্র এবং তৃণমূল কংগ্রেস মিলে বলছে, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা, নরেন্দ্র মোদীই ভরসা।”

Exit mobile version