প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ইতিমধ্যেই তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে হুমায়ুন কবীরকে। তবে যেদিন তাকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল, সেদিনই তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, তিনি বিধায়ক পদ ছাড়তে চলেছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তিনি বিধায়ক পথ ছাড়েননি। কিছুদিন আগেই আবার সেই হুমায়ুনবাবু জানিয়ে দেন যে, তাকে যারা ভোট দিয়েছেন, তারা তাকে বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করতে নিষেধ করেছেন। সেই কারণেই তিনি বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করবেন না। তবে তার এই কৌশলী পদক্ষেপ বুঝতে বাকি ছিল না রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। আজ আবারও নতুন দল ঘোষণার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কেন তিনি বিধায়ক পদ ছাড়ছেন না, কেন তিনি পদত্যাগ করছেন না, তা নিয়ে মন্তব্য করলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর।
সম্প্রতি বাবরি মসজিদের শিলান্যাস ঘিরে বিতর্কের মুখে পড়ে যান হুমায়ুন কবীর। তারপর মুখ্যমন্ত্রী যেদিন মুর্শিদাবাদের সভায় গিয়েছিলেন, সেদিনই তাকে সাসপেন্ড করা হয়। পরবর্তীতে সাংবাদিকরা হুমায়ুনবাবুর কাছে জানতে চেয়েছিলেন যে, তিনি বিধায়ক পদ ছাড়বেন কিনা। সেদিন হুমায়ুনবাবু জানিয়েছিলেন যে, তিনি বিধায়ক পদ ছেড়ে দেবেন। কিন্তু তার কিছুদিন পরেই তিনি তার অবস্থান থেকে সরে এসে জানিয়ে দেন যে, তিনি বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করবেন না কারণ যারা তাকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন, তারা তাকে এই কাজ করতে বারণ করেছেন। আজ আবারও সেই কথা বলে হুমায়ুনবাবু বুঝিয়ে দিলেন যে, তিনি আপাতত নতুন দল গঠন করলেও এবং তৃণমূল তাকে সাসপেন্ড করলেও, তিনি যে সমস্ত মানুষের ভোটে জিতেছেন, তাদের সিদ্ধান্ত অনুসারে তিনি বিধায়ক পদ ছাড়ছেন না।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হুমায়ুন কবীর খুব ভালো মতোই বুঝতে পেরেছেন যে, এখন যদি তিনি বিধায়ক পদ ছাড়েন, তাহলে তার রাজনৈতিক গুরুত্ব অনেকটাই কমে যেতে পারে। এমনিতেই তিনি নতুন দল ঘোষণা করতে চলেছেন। তৃণমূল এবং বিজেপি, দুই দলকেই চাপে রাখতে চাইছেন। ফলে এখন তার কাছে সহায় সম্বল বলতে একমাত্র এই বিধায়ক পদটি রয়েছে। ফলে সেটাও যদি তিনি ছেড়ে দেন, তাহলে বিধানসভা ভোটের মুখে তার গুরুত্ব অনেকটাই কমে যেতে পারে রাজ্য রাজনীতিতে। তাই নির্বাচন যেহেতু দরজায় কড়া নাড়ছে, তাই এই সময় বিধায়ক পদ না ছেড়ে মানুষের ভোটে নির্বাচিত হয়ে তিনি মানুষের সিদ্ধান্ত অনুসারেই জনপ্রতিনিধি পথ থেকে পদত্যাগ করছেন না বলে জানিয়ে দিয়ে রীতিমত নিজের পাল্লা ভারি করার চেষ্টা করলেন ভরতপুরের বিধায়ক বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
