প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
সামনেই ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের আগে কি তৃণমূলে ক্রমশ বেসুরোর সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে? ইতিমধ্যেই তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়ের একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। বেশি খেলা মেলা করলে পলিটিকাল পার্টির সেন্স নষ্ট হয়ে যায় বলে তার মন্তব্য ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে তৃণমূলের অন্দরমহলে। আর তার মধ্যেই এবার শাসকের অস্বস্তি বাড়িয়ে দলীয় শৃঙ্খলা নিয়েই মুখ খুললেন তৃণমূল বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়। বিজয়া সম্মিলনীর মঞ্চ থেকে তিনি যে মন্তব্য করলেন, তাতে প্রশ্ন উঠছে যে, তৃণমূলে শৃঙ্খলা না থাকায় কি বিরক্ত এই বিধায়ক?
বলা বাহুল্য, এই রাজ্যের বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো মাঝেমধ্যেই দাবি করে যে, তৃণমূল কংগ্রেস বিরোধীদের সঙ্গে কি লড়াই করবে! তারা আগে নিজেদের ঘরের লোকের সঙ্গে লড়াই করে বেড়ে উঠুক। তারপরে বিরোধীদের সঙ্গে লড়াই করা নিয়ে চিন্তাভাবনা করবে। ২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল সংঘবদ্ধভাবে লড়াই করতে গিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বিভিন্ন আসনে হেরে যাবে বলেও অনেক ক্ষেত্রে দাবি করে বিরোধীরা। আর তার মধ্যেই এবার জল্পনা বাড়িয়ে তৃণমূল বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায় বড় মন্তব্য করে বসলেন। দলে শৃঙ্খলা না থাকলে দল এগোতে পারে না বলে তার যে মন্তব্য সামনে এসেছে, তা ঘিরে তৈরি হয়েছে গুঞ্জন।
এদিন তৃণমূলের বিজয়া সম্মেলনীর মঞ্চে বক্তব্য রাখেন রাজারহাট নিউটাউনের তৃণমূল বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়। আর সেখানেই তিনি বলেন, “দলে যদি শৃঙ্খলা না থাকে, তাহলে সেই দল এগোতে পারে না। দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থাকতেই পারে। কিন্তু সেটা বাইরে প্রকাশ করা ঠিক নয়।” অর্থাৎ তৃণমূল দলে যে শৃঙ্খলা একেবারেই নেই, তা বিধায়কের এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে আরও একবার স্পষ্ট হয়ে গেল বলেই দাবি করছে বিরোধীরা। তাদের বক্তব্য, ২৬ এর নির্বাচনে পরিবর্তন নিশ্চিত। তবে অনেক আসনেই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারাই তৃণমূলের প্রার্থীকে হারিয়ে দেবে। আর দলের ভেতরে যে ভয়ংকর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রয়েছে, তা তো বিধায়কের এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়েই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই দলীয় বিধায়কের এই ধরনের মন্তব্য যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেও যথেষ্ট মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াবে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।