Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

“তোলাবাজ পুলিশের ইলিশ চুরি” ডায়মন্ড হারবার মডেল নিয়ে ভয়ংকর ভিডিও পোস্ট শুভেন্দুর!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের পুলিশ প্রশাসন কিভাবে তোলাবাজির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে, তা নিয়ে বিভিন্ন সময় সোচ্চার হয়ে বিভিন্ন তথ্য পেশ করতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। তিনি এটাও দাবি করেছেন যে, পুলিশের এখন একটাই কাজ, গাড়ি ধরে ধরে টাকা রোজগার করা। আর সেই টাকা ভাইপোর কাছে পৌঁছে দেওয়া। রাজ্যের সর্বত্র এই প্রবণতা চলছে বলেই অভিযোগ করতে দেখা গিয়েছে তাকে। কিন্তু এবার একেবারে একটি বিস্ফোরক ভিডিও নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে কিভাবে ডায়মন্ড হারবার মডেল চলছে, তার রহস্য উন্মোচন করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। ইলিশের গাড়িকে আটক করে তোলা না পাওয়ার জন্য কিভাবে সেই গাড়ি ভর্তি ইলিশ বিক্রি করে দিচ্ছে পুলিশ, সেই নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর একটি ভিডিও ঘিরে রীতিমত তোলপাড় পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।

কি ঘটনা ঘটেছে? এদিন শুভেন্দু অধিকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন। আর সেখানেই তিনি অভিযোগ করেন যে, “ডায়মন্ডহারবার মডেল, তোলাবাজ পুলিশের ইলিশ চুরি।” শুভেন্দুবাবুর অভিযোগ, ডায়মন্ডহারবারের মাছের আরৎ থেকে যে সমস্ত ছোট ছোট মাছ ব্যবসায়ীরা ইলিশ মাছ কিনতে যান, তাদের গাড়ি থেকে প্রচুর টাকা তুলতে শুরু করেছিল পুলিশ। সেক্ষেত্রে যদি কোনো মাছ ব্যবসায়ী টাকা দিতে না পারেন, তাহলে তাদের গাড়ি আটকে রাখার অভিযোগ করেছেন তিনি। আর সেই অভিযোগের মাঝেই শুভেন্দুবাবু দাবি করেন যে, মগরাহাট থানার পুলিশের একজন আধিকারিক সৈকত রায় একটি ইলিশ মাছ ভর্তি গাড়ি ধরেছিলেন। যেখানে গাড়িচালকরা তাকে তোলা দিতে না পারার জন্য সেই গাড়ি দিনভর আটক করে রাখা হয়। পরে সেই পুলিশ আধিকারিক নিজেই সেই মাছ ভর্তি গাড়ি নিয়ে তা বিক্রি করে দেওয়ার চেষ্টা করলে হাতে নাতে ধরে ফেলেন মাছ ব্যবসায়ী। আর সেই সময় তারা সেই পুলিশ আধিকারিককে ঘিরে চোর, চোর স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এই গোটা ঘটনা পরম্পরা উল্লেখ করে শুভেন্দু অধিকারী নিজের পোস্টে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে আরও সমালোচনার বন্যা বইয়ে দিয়েছেন। তার দাবি, “এবার তোলাবাজির অর্থ দিতে সক্ষম না হলে গাড়িতে থাকা মাল চুরি করে বিক্রি করে দিচ্ছে। এটাই ডায়মন্ডহারবার মডেল। এই সরকার টাকে তাড়াতেই হবে। নচেৎ বাংলার জনগণকে আরও কি কি যে দেখতে হবে, তা ঈশ্বরই জানেন।” বিজেপির দাবি, শুভেন্দু অধিকারী দীর্ঘদিন ধরেই দাবি করছেন যে, রাজ্যে পুলিশ কিভাবে তোলাবাজি করছে। আর এবার মৎস্য ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভের মুখে যেভাবে এক পুলিশ আধিকারিক পড়লেন, তাতে পুলিশের মান সম্মান আরও মাটিতে মিশে গেল। যে ডায়মন্ড হারবার মডেল নিয়ে এত গর্ব করেন তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা, এখন সেই ডায়মন্ড হারবারে কি করে সমস্ত কিছু চলছে! কিভাবে পুলিশের তোলাবাজি সাধারণ মৎস্য ব্যবসায়ীদের সহ্য করতে হচ্ছে, তার পর্দা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় কি বলবেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান? প্রশ্ন তুলছে বিরোধীরা।

Exit mobile version