Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

তলব করে কি হবে? মমতা প্রশাসন মানেই না জাতীয় মহিলা কমিশনকে? সঠিক মন্তব্য শুভেন্দুর!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন থেকে শুরু করে জাতীয় মহিলা কমিশন এসেছে। কিন্তু তারা রিপোর্ট তৈরি করে নিয়ে গেলেও লাভের লাভ কিছু হয়নি। উল্টে এই রাজ্যের প্রশাসন সেই কমিশনকে অমান্য করার মত বেশ কিছু কাজ করেছে। আর তা দেখার পরেও কমিশনের ঢিলেঢালা মনোভাব নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। ইতিমধ্যেই পাঁশকুড়ার সরকারি হাসপাতালে এক স্বাস্থ্য কর্মীকে নির্যাতনের ঘটনায় তোলপাড় হয়েছে বাংলা। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিল জাতীয় মহিলা কমিশন। যেখানে পুলিশ সুপারকে তলব করেছে তারা। তবে সত্যিই কি জাতীয় মহিলা কমিশনের এই পদক্ষেপে কাজ হবে? কারণ এর আগেও তো এরকম একাধিক ঘটনা দেখা গিয়েছে। ফলে তাদের এই পদক্ষেপে কি আদৌ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ সাড়া দেবে? এইরকম সংশয় যখন তৈরি হচ্ছে, ঠিক তখনই শুধুমাত্র তলব করে যে কিছু হবে না, জাতীয় মহিলা কমিশনকে যে পদক্ষেপের মত পদক্ষেপ নিতে হবে, তা বুঝিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

ইতিমধ্যেই আপনারা সকলে জানেন যে, পাঁশকুড়ায় সরকারি হাসপাতালের মধ্যে এক মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীর নির্যাতনের ঘটনা সামনে এসেছে। অনেকেই এই বিষয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। কিন্তু এই রাজ্যের বুকে এই রকম ঘটনা যে অত্যন্ত স্বাভাবিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা নিয়ে খোঁচা দিতে শুরু করেছে বিরোধীরা। ইতিমধ্যেই সেই পাঁশকুড়া সরকারি হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছিল জাতীয় মহিলা কমিশন। আর তারপরেই প্রশ্ন উঠেছিল যে, তাদের এই পৌঁছে যাওয়ায় কি আদৌ কোনো লাভ হবে? কারণ এর আগেও তো রাজ্যে অনেক কমিশন এসেছে। কিন্তু এই রাজ্যের প্রশাসন তো তাকে পাত্তাও দেয়নি। ফলে এবার মহিলা কমিশন কি কিছু করতে পারবে? যতদূর খবর পাওয়া যাচ্ছে, তারা পুলিশ সুপারকে তলব করেছে। কিন্তু সেই পুলিশ সুপার যাবে না বলেই জানিয়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বরঞ্চ জাতীয় মহিলা কমিশনকে এই রাজ্যের প্রশাসন যেভাবে অমান্য করছে, তাতে তাদের আদালতে যাওয়ার বার্তা দিলেন তিনি।

এদিন সাংবাদিকরা এই বিষয়ে শুভেন্দুবাবুকে প্রশ্ন করেন। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “জাতীয় মহিলা কমিশন এসপিকে তলব করলেও এসপি যাবে না। জাতীয় মহিলা কমিশনকে বলুন, কোর্টে যেতে। ওদের একটা রেকমেন্ডেশন মানে না অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারীও বুঝিয়ে দিলেন যে, জাতীয় মহিলা কমিশন শুধুমাত্র এসে রিপোর্ট তৈরি করলেই হবে না। তাদের এই রাজ্যের প্রশাসনকে বাধ্য করতে হবে, পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য। আর সেই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা শুধুমাত্র মুখে বলে দায়সারা কাজ করলেই হবে না জাতীয় মহিলা কমিশনকে। প্রশাসনকে বাগে আনতে গেলে তাদের এবার আদালতের শরণাপন্ন হতে হবে বলেই বার্তা দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশাসনকে টাইট দিতে এবং রাজ্যে এই অরাজকতা বন্ধ করতে জাতীয় মহিলা কমিশন এবার সেই পথেই হাঁটে কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

Exit mobile version