Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

ট্রাম্পের মন্তব্যে বিরক্ত ভারত, বিতর্কের মাঝেই আমেরিকা নিয়ে একি করে বসলেন মমতা?

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ভারত-পাক যুদ্ধ বিরতি শুরু হওয়ার পরেই ক্রেডিট নিতে শুরু করেছিলেন আমেরিকার ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার মন্তব্য এমন ছিল, যেন তিনি দুই দেশকে বুঝিয়ে যুদ্ধ বিরতি করিয়ে দিয়েছেন। সব সময় তার এই ক্রেডিট নেওয়ার অভ্যাস খুব একটা ভারতবাসীর মন পসন্দ ছিল না। কিন্তু তারপরেও সাম্প্রতিক সময়ে একাধিকবার ট্রাম্প দাবি করার চেষ্টা করেছেন যে, ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যে যুদ্ধ চলেছিল, তা তিনি বন্ধ করেছেন। আর ট্রাম্পের এই মন্তব্যের বিরুদ্ধে যখন ভারতবাসীর ক্ষোভ রয়েছে, ঠিক তখনই আমেরিকার কনসাল জেনারেল, যিনি কলকাতায় নিযুক্ত রয়েছেন, তার সঙ্গে নবান্নে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, তার সঙ্গে রয়েছেন কলকাতায় নিযুক্ত আমেরিকার কনসাল জেনারেল ক্যাথি গিলেস দিয়াজ। কি নিয়ে তাদের মধ্যে কথা হলো? মূলত, পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের বিষয়টিকে সামনে রেখেই যে এই আলোচনা হয়েছে, তা সোশ্যাল মিডিয়ায় উল্লেখ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যেখানে তিনি লেখেন, “সল্টলেকে সেক্টর ফাইভে সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক অফ ইন্ডিয়ায় প্রায় ১৩ হাজার বর্গফুট জায়গা একটি মার্কিন সংস্থাকে দেওয়া হয়েছে। তারা আরও ১৯ হাজার বর্গফুট জায়গা চেয়েছে। সেই প্রক্রিয়া চলছে। আমাদের সরকার শিল্প, শিক্ষাক্ষেত্র, বিদ্যুৎ, শিল্পের উন্নয়নে কাজ করছে। পড়ুয়াদের উন্নতির কথা ভেবে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে নানা যৌথ প্রকল্পে ইন্টার্নশিপের কথা ভাবা হচ্ছে। নিউ জার্সির একটা সংস্থা কলকাতায় সেমিকন্ডাকটর এবং ন্যানো ইলেকট্রনিক প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করছে।”

বিরোধীদের দাবি, এই সমস্ত বৈঠকই হবে। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হবে না। এর আগেও এই রাজ্যে অনেক মৌ স্বাক্ষর হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে কটা শিল্পের বাস্তবায়ন দেখেছেন রাজ্যবাসী? কদিন আগেই তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নরেন্দ্র মোদীকে কটাক্ষ করে “কেন ট্রাম্পকে নিয়ে মুখ খোলেন না?” এরকম মন্তব্য করেছিলেন। আর এখন কলকাতায় নিযুক্ত আমেরিকার কনসাল জেনারেলের সঙ্গে তিনি নিজে বৈঠক করে আবার বড় বড় ছবি দিচ্ছেন। সে তিনি উন্নয়নের জন্য এই সমস্ত কিছু চেষ্টা করতেই পারেন। তাতে কারও কোনো অসুবিধা নেই। কিন্তু আদৌ উন্নয়ন হবে তো? কারণ এই রাজ্যে শুধু বৈঠক আর শিলান্যাসই হয়। বাস্তবায়ন রাজ্যবাসী ২০২৬ এ নতুন সরকারের হাত ধরে দেখতে পাবে বলেই দাবি করছে বিরোধীরা।

Exit mobile version