Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

উৎসবের পরেই ঝোড়ো ব্যাটিং শুরু ইডির! রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রীর অফিসে কেন্দ্রীয় সংস্থা!

 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের মধ্যে একটাই প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে। সেটা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তো অনেকের বাড়িতে গিয়েছে, অনেক জায়গাতেই তল্লাশি চালিয়েছে। কিন্তু তাতে কি কোনো লাভ হয়েছে? এই রাজ্যের বুকে যে দুর্নীতি হয়েছে, সেটা তো সকলেই জানে, তাহলে সেই দুর্নীতি যারা করেছে, যাদের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে, কেন তাদের অনেককেই গ্রেফতার পর্যন্ত করা হয়নি? তাহলে কি তদন্তকারী সংস্থার মধ্যেই কোথাও একটা লিগাসি কাজ করছে? তবে অনেকেই বলেছিলেন যে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আটঘাট বেঁধেই পথে নেমেছে। সঠিক সময়েই তারা উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। স্বাভাবিকভাবেই একদিকে নির্বাচনে এগিয়ে আসছে, আর তার মধ্যে এইরকম প্রশ্ন যখন ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে, ঠিক তখনই আজ সকাল থেকেই রীতিমত অ্যাকশন মুডে দেখা যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের।

প্রসঙ্গত, এর আগেও রাজ্যের অনেক মন্ত্রী থেকে শুরু করে শাসকদলের অনেক তাবড় তাবড় নেতার বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অনেকে গ্রেপ্তার হলেও মূল রাঘব বোয়ালরা কবে গ্রেপ্তার হবে এবং তাদের ধরার ব্যাপারে কবে পদক্ষেপ নেবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, এই প্রশ্ন সকলের মধ্যেই রয়েছে। আর আজ সকাল থেকেই পুর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৎপরতা দেখা যায় ইডি আধিকারিকদের মধ্যে। যেখানে রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসুর সল্টলেকের যে অফিস, সেই অফিসে পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। যেখানে তাদের সঙ্গে রয়েছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরাও। মূলত, সেই অফিসে গিয়েই তল্লাশি চালাচ্ছেন ইডি আধিকারিকরা।

বিরোধীদের দাবি, তল্লাশি চালাচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, অত্যন্ত ভালো কথা। তদন্তের স্বার্থে তাদের এই কাজ করতেই হবে। কিন্তু এই তল্লাশি প্রক্রিয়াই যদি চলতে থাকে, তাহলে তা খুব দুর্ভাগ্যজনক হবে রাজ্যের মানুষের কাছে। অনেক তল্লাশি, অনেক জেরা হয়েছে। এবার আর এই সমস্ত কিছু দেখতে চাইছে না রাজ্যের সাধারণ মানুষ। এবার তারা দেখতে চায় যে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা যারা দুর্নীতি করেছে, তাদের গ্রেফতার করে জেলে ঢোকাচ্ছে। তাই দ্রুত তল্লাশির কাজ শেষ করে মানুষের আস্থা ফেরানোর মত পদক্ষেপ গ্রহণ করা উচিত কেন্দ্রীয় সংস্থার বলেই মনে করছে বিরোধীরা।

Exit mobile version