Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

উত্তরের দুর্যোগে নাকি ত্রাণে ভরিয়ে দিয়েছেন মমতা! মিথ্যাচার ফাঁস করে হাঁটে হাড়ি ভাঙলেন সুকান্ত!

 

 

 

 

 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যের উত্তরবঙ্গের মানুষ বর্তমানে কতটা বিপদের মুখে রয়েছেন, তা তারাই জানেন। রাজ্যে একটি সরকার রয়েছে। কিন্তু সেই সরকার যে তাদের জন্য কোনো ত্রাণের ব্যবস্থাটুকু করেনি, তা যারা ঘটনাস্থলে গিয়েছেন, তারা প্রত্যক্ষ করেছেন। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গের বিপর্যয়ের পর গিয়েছিলেন‌। সেখানে গিয়ে তিনি এটাও দাবি করেছিলেন যে, তার সরকার, তার প্রশাসন সব রকম সহযোগিতা করছে, মানুষের পাশে রয়েছে। এমনকি সব রকম ত্রাণের ব্যবস্থা নাকি করা হয়েছে। তবে দুর্যোগের সময় রাজনীতিকে দূরে রেখে বিরোধীরাও মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন। শুধু তাই নয়, আজ কলকাতায় উত্তরবঙ্গের বিপর্যস্ত মানুষের পাশে থাকার জন্য অর্থ সংগ্রহ করতে বেরিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। আর সেখানেই সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য প্রশাসন যেভাবে উত্তরবঙ্গে বিপর্যস্ত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করছেন, তাকে সম্পূর্ণ মিথ্যাচার বলে একেবারে হাঁটে হাড়ি ভেঙ্গে দিলেন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

যতদূর খবর পাওয়া গিয়েছে যে, মুখ্যমন্ত্রী কিছুদিন আগে উত্তরবঙ্গ থেকে ফিরেছেন। আবার তিনি সোমবার উত্তরবঙ্গে যাবেন। কারণ দুর্যোগে বিপর্যস্ত মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, দেখানোর চেষ্টা হচ্ছে যে, তারা সমস্ত রকম ভাবে মানুষের পাশে আছে, ত্রাণ শিবিরে সমস্ত রকম ত্রাণ তারা পৌঁছে দিচ্ছেন। কিন্তু কিছুদিন আগেই উত্তরবঙ্গ থেকে সেই বিপর্যস্ত এলাকা পরিদর্শন করে এসেছেন সুকান্ত মজুমদার। আজ উত্তরবঙ্গের মানুষের জন্য যারা বিপর্যয়ের মধ্যে রয়েছেন, তাদের পাশে দাঁড়াতে কলকাতায় অর্থ সংগ্রহ করে তা যাতে উত্তরবঙ্গের ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, সেই কর্মসূচিতে শামিল হয়েছিলেন তিনি। আর সেখানেই রাজ্যের যে উদাসীন মনোভাব, উত্তরবঙ্গের মানুষের পাশে এই বিপদের দিনে বিন্দুমাত্র ত্রাণ না পৌঁছানোর বিষয়টি নিয়েই সোচ্চার হলেন এই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

এদিন সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমি তো উত্তরবঙ্গ থেকে ঘুরে এলাম। আমি জলপাইগুড়ির তিনটি এলাকায় গিয়েছিলাম। একটি মঙ্গলহাট, একটি ময়নাগুড়ি এবং একটি ধুপগুড়ি। এখানে রাজ্য সরকারের কোনো ত্রাণ পৌঁছয়নি। এমনকি একটি এলাকা এমন রয়েছে যে, সেখানে ত্রাণের শিবির হয়েছে। কিন্তু রাজ্য প্রশাসন নাকি জানেই না যে, সেখানে ত্রাণ শিবির করা হয়েছে। আর সব থেকে বড় কথা, এসটিআরএফ যে ফান্ড রয়েছে, সেখানে কেন্দ্রীয় সরকার প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা, এই পাঁচ বছরে দিয়েছে। যেখানে রাজ্য সরকারের ২৫ শতাংশ টাকা দেওয়ার কথা। আমি রাজ্য সরকারের টাকাটার কথা ছেড়ে দিলাম। কিন্তু কেন্দ্র যে পাঁচ হাজার কোটি টাকা পাঠিয়েছে, সেটা এই পাঁচ বছরে কোথায় খরচ হয়েছে, সেটা তো রাজ্য সরকারকে জানাতে হবে।”

Exit mobile version