প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- একদিকে এসআইআরের কারণে প্রচুর অবৈধ বাংলাদেশিদের নাম বাদ যাচ্ছে। এটা তৃণমূল খুব ভালোমতোই বুঝতে পেরেছে। আর তার মধ্যেই যারা সংখ্যালঘুরা রয়েছেন, তারা এখন তৃণমূলের থেকে মুখ ফিরিয়ে চলে যাচ্ছেন আইএসএফের দিকে। আর তার ফলে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত যে সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে, সেখানকার তৃণমূল নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে যাওয়ার যোগাড় বলেই দাবি করছে বিরোধীরা। মাঝেমধ্যেই বিরোধী নেতারা অভিযোগ করেন যে, ভাঙ্গর, ক্যানিং পূর্বের মত এলাকায় বিরোধীরা যাতে কোনো মিটিং মিছিল করতে না পারে, এতদিন তার জন্য ভয় দেখিয়ে আসতেন শওকত মোল্লার বাহিনী। কিন্তু এখন আইএসএফ এবং নওশাদ সিদ্দিকী লড়াই দেওয়ার কারণে তারা কিছুটা কাবু হয়ে গিয়েছেন। আর তার ফলেই কি এবার আরও বেশি করে আতঙ্কিত হয়ে নওশাদ সিদ্দিকী এবং আইএসএফকে এমন মারাত্মক হুঁশিয়ারি দিয়ে বসলেন শওকত মোল্লা?
এমনিতেই বিরোধীরা মাঝেমধ্যেই দাবি করে যে, শওকত মোল্লা, জাহাঙ্গীর খানের মত নেতারা মানুষকে ভয় দেখিয়ে রেখে দিয়েছে, তাদের দাপটে মানুষ ঠিকমত কথা বলতে পারে না। তবে সেই সমস্ত তৃণমূলের নেতারাও কি এখন আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন যে, সংখ্যালঘু ভোট তাদের দিকে থাকবে না, এখন সেটা আইএসএফের দিকে চলে যাচ্ছে, সেটা কি তারা বুঝতে পেরেছেন? আর তার ফলেই কি এবার হুমকি, হুঁশিয়ারি শুরু হয়ে গেল? যেভাবেই হোক আইএসএফকে ভয় দেখিয়ে, তাদের কর্মীরা যাতে রাজনীতির ময়দানে টিকে থাকতে না পারে, তারা যাতে রাজনৈতিক কাজকর্ম করতে না পারে, তার জন্যই কি শওকত মোল্লার এই ধরনের বার্তা? যেখানে একজন বিধায়ক হয়ে শওকত মোল্লা মাটিতে পুঁতে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন আইএসএফ কর্মীদের, স্বাভাবিকভাবেই একজন জনপ্রতিনিধি, তাও আবার শাসক দলের একজন হয়ে কি করে তিনি এইরকম মন্তব্য করতে পারেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।
এদিন ভাঙ্গড়ের একটি সভা থেকে আইএসএফকে হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। তিনি বলেন, “দুই একটা জানোয়ার আছে আইএসএফের, মাথায় কালো টুপি দিয়ে ঘোরে। আমরা সেদিন ভোগালী ২ তে মিটিং করতে গিয়েছিলাম। ওই জানোয়ারকে সাবধান করে দিচ্ছি। এর পরে আমাদের কোনো মিটিংয়ে যদি বাদরামো করো, মাটির ভেতরে পুঁতে ফেলে দেবো। আটকানোর ক্ষমতা তোমার বাপ নওশাদ, বাপ আব্বাস পারবে না।”
