41π
প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
প্রথম থেকেই কিভাবে এসআইআরকে বন্ধ করতে হয়, কিভাবে এসআইআরকে আটকানো যায়, তার সব রকম চেষ্টা তৃণমূল কংগ্রেস করেছে। কিন্তু কোনোভাবেই যখন পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর আটকানো গেল না, তখন এর বিরোধিতা করতে এখন পুরোদস্তুর ময়দানে নেমে পড়েছে রাজ্যের শাসক দল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে সভা করছেন এসআইআরের বিরুদ্ধে বক্তব্য রাখছেন। এমনকি তার দলের নেতাকর্মীদের দিয়ে বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটির নামে রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তরের সামনে পর্যন্ত অসভ্যতা করেছে বলে দাবি করছে বিরোধীরা। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের কর্মীরা যদি ভেবে থাকেন যে, এইভাবে বিক্ষোভ দেখিয়ে নির্বাচন কমিশনকে চাপে রাখবেন এবং তার ফলে নির্বাচন কমিশন বাংলায় এসআইআর করবে না, তাহলে তারা ভুল করছেন। এসআইআর না হলে এবং সঠিক টাইমে ভোটার তালিকা না বের হলে যে ভোট হবে না, আর ভোট না হলে যে নির্ধারিত সময় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হবে, সেই কথা উল্লেখ করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটির নামে সামনে দুই, চার জন বিএলওকে রেখে পেছন থেকে যেভাবে তৃণমূলের নেতা কর্মীরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন এবং অসভ্যতা করেছেন, তারপরেও যে এই রাজ্যে এসআইআর বন্ধ হবে না, তা স্পষ্ট করে দিয়ে তৃণমূলের আতঙ্ক বাড়িয়ে দিলেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়।
সম্প্রতি এসআইআরকে বন্ধ করতে তৃণমূল কংগ্রেস নিজেদের জান প্রাণ লাগিয়ে দিচ্ছে। যেভাবেই হোক, যে কোনো অছিলায়, যাতে এসআইআর বন্ধ হয়, তার জন্য তারা সব রকম চেষ্টা করছে। এমনকি বিএলও অধিকার রক্ষা কমিটির নামে বিএলওদের সুরক্ষার দাবিতে নির্বাচন কমিশনের দপ্তরের সামনে যে বিক্ষোভ হয়েছে, সেখানে নামে মাত্র কয়েকজন বিএলও ছিলেন, আর বেশিরভাগ তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা নেত্রীরা ছিলেন বলেই অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই সেই ব্যাপারে কলকাতার পুলিশ কমিশনারের কাছে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট তলব করেছে নির্বাচন কমিশন। আর সেই বিষয়টি উল্লেখ করে ভয় দেখালেই যে এসআইআর বন্ধ হয়ে যাবে, এমনটা যে নয়, বরঞ্চ ভোটের দিন পর্যন্ত যদি তৃণমূল তাদের ক্যাডারদের দিয়ে এই ধরনের বিক্ষোভ করায়, তবুও এসআইআর পশ্চিমবঙ্গে হবেই বলে জানিয়ে দিলেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়।
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। আর সেখানেই তিনি বলেন, “দেখুন, এই ধরনের তিন-চারটে বিএলও নিয়ে আর পেছন থেকে তৃণমূলের ক্যাডারদের নিয়ে অন্য কোনো রাজ্যে এরকম বিক্ষোভ দেখেছেন? অর্থাৎ এই রাজ্যে কোনো সংবিধান নেই। বিভিন্ন ভাবে চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। যাতে নির্বাচন কমিশন চাপে থাকে এবং তারা এই এসআইআর বন্ধ করে দেয়। কিন্তু ৫০ দিন কেন, ১০০ দিন, এমনকি ভোটের দিন পর্যন্ত এই বিক্ষোভ প্রদর্শন চালিয়ে যাক। কিন্তু কোনোভাবেই এসআইআর বন্ধ হবে না। সারা ভারতবর্ষে যে নিয়ম চলছে, বাংলাতেও সেই নিয়ম চলবে।”
