Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা! মুখ্যসচিবকে দিল্লিতে ডেকে কড়া ডোজ কমিশনের?

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- অবশেষে জাতীয় নির্বাচন কমিশন তার ক্ষমতা দেখাতে শুরু করলো। এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন যে, নির্বাচন শুরু হওয়ার আগে কমিশন কোনোভাবেই রাজ্যের ব্যাপারে নাক গলাতে পারে না। ভোটার তালিকায় কারচুপির ক্ষেত্রে জাতীয় নির্বাচন কমিশন যে চারজন আধিকারিকের বিরুদ্ধে রাজ্যকে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছিল এবং সাসপেন্ড করার কথা বলেছিল, তাকে অমান্য করে রাজ্য। পাল্টা মুখ্যসচিবের পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে কমিশনকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, সাসপেন্ড করার মত পথে হাঁটবে না রাজ্য। তবে দুইজন ব্যক্তিকে নির্বাচনী কাজ থেকে সরিয়ে রাখা হবে। এক্ষেত্রে সাসপেন্ডের মত সিদ্ধান্ত নিলে রাজ্যের সরকারি মহলে তার প্রভাব পড়বে বলেই যুক্তি দেয় রাজ্য। আর তারপরেই মুখ্য সচিবকে দিল্লিতে সশরীরে ডেকে পাঠায় নির্বাচন কমিশন। আর তখন থেকেই মনে করা হচ্ছিল যে, এবার নির্বাচন কমিশন পদক্ষেপ নিতে শুরু করবে। আর সেই মতই গতকাল দিল্লিতে মুখ্যসচিব যাওয়ার পরেই তাকে নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নেয় নির্বাচন কমিশন। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই খবর পাওয়া যাচ্ছে যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতদিন যতই বড় বড় কথা বলুন না কেন, এবার যে চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছিল, হয়ত এবার তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতেই হবে রাজ্যকে।

কি ঘটনা ঘটেছে. গতকাল সকালেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ডাকে দিল্লিতে চলে যান রাজ্যের মুখ্য সচিব বনসপন নির্ধারিত সময়ের আগেই বিকেলে তিনি জাতীয় নির্বাচন কমিশনের দপ্তরে গিয়ে উপস্থিত হন তবে দুই পক্ষের আলোচনায় কি উঠে এলো তার দিকে সকলের নজর ছিল অনেকেই ভাবতে শুরু করেছিলেন যে এবার মুখ্য সচিব কে কড়া ভাষায় ধমক দিতে পারে জাতীয় নির্বাচন কমিশন তবে যে খবর পাওয়া যাচ্ছে তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় নির্বাচন কমিশন চার আধিকারিক এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার যে কথা রাজ্য কে বলেছিল তার ভিত্তিতে রাজ্য কি ব্যবস্থা নিয়েছে তা কমিশন কে জানিয়েছেন মুখ্য সচিব।

শুধু তাই নয়, কমিশনের পক্ষ থেকেও এই চার অধিকারকে বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার যে সিদ্ধান্ত, সেই সিদ্ধান্তে অনড় থেকে তাদের বিরুদ্ধে যাতে ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও খবর। যার পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত এই ৪ আধিকারিকের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে সময় চেয়ে নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব। আর এই খবর প্রকাশ্যে আসার পরেই বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মুখ্যসচিবের বৈঠকে এমন কিছু একটা হয়েছে, যার ভিত্তিতে শেষ পর্যন্ত সুর নরম করতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য। এখন দিল্লি ফিরে এসে মুখ্যসচিব এই চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের ক্ষেত্রে কি পদক্ষেপ নেবেন, সেটা তার ব্যাপার। কিন্তু নির্বাচন কমিশনের দপ্তর গিয়ে এক ঘন্টা বৈঠকের পর যেভাবে তিনি ২১ আগস্ট পর্যন্ত এই চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার ক্ষেত্রে সময় চেয়ে নিলেনড় তাতেই স্পষ্ট যে, নির্বাচন কমিশন এক্ষেত্রে কড়া ডোজ দিয়েছে। আর সেই কারণেই শেষ পর্যন্ত অতীতে যেভাবে নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তকে নাকচ করে একের পর এক চিঠি পাঠাচ্ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব, তা থেকে তিনি কিছুটা সরে এসে সুর নরম করতে বাধ্য হয়েছেন বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। তবে শেষ পর্যন্ত কবে এই চার আধিকারিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় রাজ্য, আর যদি তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে নির্বাচন কমিশন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

Exit mobile version