প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে যারা যত বেশি অন্যায় করবে, যারা দুষ্কৃতী, যারা মানুষের ওপর অত্যাচার করবে, তারাই এখন সব থেকে বেশি সুরক্ষিত। বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তেমনটাই অভিযোগ করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই রাজ্যে প্রতিবাদীদের যে কোনো মূল্য নেই, যারা সঠিকভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে, তাদেরকেই যে পুলিশ হেনস্থা করবে, সেই কথাও তুলে ধরেন তিনি। আর এসবের মধ্যেই এবার ডায়মন্ডহারবার রোডে নিজের বাড়ির সামনে কয়েকজন যুবককে নেশা করতে দেখে প্রতিবাদ করেছিলেন এক প্রতিবাদী। আর তারপরেই তার কপালেই জুটেছে মার। আর সেই ঘটনাতেই এবার পুলিশের বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
প্রসঙ্গত, এই রাজ্যে বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা বারবার করে বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়েছে। বিরোধী দলগুলো বারবার করে অভিযোগ করেছে যে, এই রাজ্যে অন্যায় হলেও পুলিশ সঠিক পদক্ষেপ নেয় না। আর তার মধ্যেই ডায়মন্ডহারবার রোডের কাছে নিজের বাড়ির সামনে কিছু ব্যক্তিকে নেশা করতে দেখে প্রতিবাদ করেছিলেন দেবাশিস বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি। পরবর্তীতে সেই প্রতিবাদ করার কারণে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করা হয় বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই পুলিশের শরণাপন্ন হয়েছেন প্রতিবাদী দেবাশিস বিশ্বাস।
এদিকে এই ঘটনা সামনে আসতেই সোচ্চার হয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে পুলিশের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি। যেখানে শুভেন্দু অধিকারী লেখেন, “খোদ কলকাতার বুকে সমাজ বিরোধীদের দৌরাত্ম্য। রাজ্য পুলিশের কাজ হলো দাসত্ব করা।” অর্থাৎ শুভেন্দুবাবু এই পোষ্টের মধ্যে দিয়ে আরও একবার বুঝিয়ে দিলেন যে, এই রাজ্যের পুলিশ সাধারণ মানুষকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। উল্টে দুষ্কৃতীরা যেভাবে রাজ্য অত্যাচার চালাচ্ছে, তাদেরকেই প্রোটেকশন দিচ্ছে প্রশাসন। কিন্তু যারা প্রতিবাদী, যারা অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করবে, তাদেরকে রক্ষা করার মত সাহস এই দলদাস পুলিশের নেই বলেই অভিযোগ শুভেন্দু অধিকারীর।
বিশেষজ্ঞদের মতে, পুলিশের কাছেই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ সুশাসন নিশ্চিত করা। এই রাজ্যের পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভিযোগ ওঠে যে, তারা অন্যায়কে প্রশ্রয় দিচ্ছে। সেক্ষেত্রে বিরোধীরাও পুলিশের বিরুদ্ধে বলার সুযোগ পেয়ে যাচ্ছে। তাই বাড়ির সামনে নেশা করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে এক যুবক যেভাবে আক্রান্ত হলেন, তাতে পুলিশ যদি এখন প্রতিবাদীকে সুরক্ষা দিয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারে, তাহলে প্রমাণ হয়ে যাবে যে, এই রাজ্যের পুলিশ সাধারণ মানুষের পাশে থাকে। কিন্তু দিনের শেষে যদি এই গোটা ঘটনায় পুলিশ নীরব থাকে তাহলে শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যেই সীলমোহর পড়ে যাবে বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।