Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

বাঁশের ব্যারিকেডের সঙ্গে টিনের ঢাল! নবান্নের আগেই নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা পুলিশের!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- যেভাবেই হোক, নবান্ন অভিযানকে আটকাতে হবে। তাই বহু প্রশাসনিক হুমকি থাকা সত্ত্বেও যখন তা আটকানো গেল না, তখন শক্তি প্রদর্শন করে রীতিমত শহরকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করার প্রস্তুতি চালাচ্ছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই বড় বড় গার্ডরেল নিয়ে আসা হয়েছে। মাটি খুঁড়ে তাতে ব্যারিকেড দিয়ে কোনোভাবেই যাতে নবান্ন অভিমুখে কেউ যেতে না পারে, তার জন্য মরিয়া চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে এতকিছুর পরেও যখন আজ নবান্ন অভিযান হচ্ছে, তখন এর আগে যখন অভিযান হয়েছিল, তখন যত সক্রিয় দেখা গিয়েছিল পুলিশকে, তার থেকেও আরও যেন দ্বিগুণ সক্রিয় দেখা গেল এবারের প্রশাসনকে।

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই নবান্ন অভিমুখে যাওয়ার যত রাস্তা রয়েছে, সবকটি রাস্তায় বড় বড় ব্যারিকেড দিয়েছে পুলিশ। প্রস্তুত রাখা হয়েছে জল কামানের মত ব্যবস্থাও। যেখানে কাজিপাড়ার মত গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা, যে রাস্তা দিয়ে নবান্ন থেকে আসা যায় এবং নবান্নের দিকে যাওয়া যায়, সেই রাস্তাতেই বাঁশের ব্যারিকেড প্রস্তুত করে রাখা হয়েছে। শুধু বাঁশের ব্যারিকেড নয়ড় সেই বাঁশের ব্যারিকেডের ওপর রাখা হয়েছে টিনের ঢাল। যাতে কেউ সেই ব্যারিকেড পার হতে না পারে। আর এই চিত্র সামনে আসার পরেই নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন।

অনেকেই বলছেন, অভয়ার পরিবার তো কোনো সমাজবিরোধী বা দুষ্কৃতিকারী নয়। তারা তাদের মেয়েকে হারিয়েছেন। আর এর জন্য প্রশাসনিক ব্যবস্থা দায়ী। প্রশাসনের নিরাপত্তাহীনতার জন্যই আজকে সরকারি একটি হাসপাতালে কর্তব্যরত এক চিকিৎসক তরুণীর ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনা ঘটেছে। তারপরেও সেই মৃত্যুর এক বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরেও যখন বিচার হলো না, তখন সেই অভয়ার পরিবারের ডাকেই তো নবান্ন অভিযান হচ্ছে। কোনো রাজনৈতিক দলের তো এটা কর্মসূচি নয়। তাহলে সেই কর্মসূচিতে পুলিশের এত বাধা কেন? এভাবে ব্যারিকেড তৈরি করে বাধা দিয়ে পুলিশ তো শুধু অভয়ার পরিবারকেই অপমান করছে না, গোটা রাজ্যের সুশীল সমাজ, যারা বিচারের দাবিতে গর্জে উঠেছেন, তাদের সকলের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

Exit mobile version