প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
এই রাজ্যে লড়াই করেই যে অধিকার কেড়ে নিতে হবে, সরকার যে মানুষের প্রাপ্য মর্যাদা এবং অধিকারটুকু দেবে না, তা বুঝতে পেরেছেন অনেকেই। তাই মাঝে মধ্যেই নবান্ন অভিযান থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে অভিযান কর্মসূচি করতে দেখা যাচ্ছে সমাজের একটা বড় অংশের মানুষকে। ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেল বাতিল হয়ে যাওয়ার পর থেকেই বারবার করে বিক্ষোভ হয়েছে। যারা যোগ্য চাকরিহারা ব্যক্তি, যারা মেধার ভিত্তিতে চাকরি পেয়েছিলেন, তাদের চাকরি চলে যাওয়ার কারণে তারা রাস্তায় নেমেছেন। হয়েছে এসএসসি দপ্তর ঘেরাও এবং অভিযানের মত কর্মসূচি। আর আজ আবারও সেই কর্মসূচির ডাক দিলেন চাকরিহারা ব্যক্তিরা।
বলা বাহুল্য, এদিন চাকরিহারা ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে সুমন বিশ্বাস বড় কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আজ সোমবার বেলা ১২ টার সময় করুণাময়ী মোড়ে তারা জমায়েত হবেন। আর সেখান থেকেই তারা এসএসসি দপ্তর অর্থাৎ আচার্য সদনের উদ্দেশ্যে মিছিল করে রওনা দেবেন। শুধু তাই নয়, বেলা ৩ টের সময় এসএসসি চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের সঙ্গে দেখা করে তারা মেধার ভিত্তিতে চাকরি পেলেও, কেন আবার তাদের পরীক্ষা দিতে হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তারা আলোচনা চেয়েছেন বলেও জানিয়েছেন এই চাকরিহারা ব্যক্তি। আর চাকরিহারা ব্যক্তিদের এই আন্দোলন যে রাজ্য এবং প্রশাসনের কাছে যথেষ্ট অস্বস্তের কারণ হয়ে দাঁড়াবে, তা বুঝতে বাকি নেই বিশেষজ্ঞদের। তাই ইতিমধ্যেই পুলিশের পক্ষ থেকেও সর্বাত্মকভাবে এই কর্মসূচি বানচাল করার চেষ্টা হচ্ছে বলেই অভিযোগ একাংশের।
পর্যবেক্ষকদের মতে, এমনিতেই ২০১৬ সালের এসএসসির প্যানেল সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে বাতিল হয়ে যাওয়ার পরেই রাজ্য চাপে পড়ে গিয়েছে। কিছু মানুষ দুর্নীতির কারণে চাকরি পেলেও তাদের জন্য যেভাবে পুরো প্যানেল বাতিল করে দেওয়া হয়েছে, তা নিয়ে রাজ্যের ওপরেই চাপ বাড়াচ্ছেন চাকরিহারা ব্যক্তিরা। কেন তাদেরকে আবার পরীক্ষা দিতে হবে, এই প্রশ্ন তুলে তারা আন্দোলনে রয়েছেন। আর আজ যেভাবে তারা এসএসসি অভিযানের ডাক দিলেন, তাতে রাজ্যের চাপ ক্রমশ বৃদ্ধি হচ্ছে।সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।
