প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- নেপালে বিক্ষোভকারীদের যে বিক্ষোভ সংগঠিত হয়েছে, তাতে আর সরকারে থাকা সম্ভব ছিল না কেপি শর্মা ওলির পক্ষে। মনে করা হয়েছিল যে, তিনি সন্ধ্যেবেলা সর্বদলীয় বৈঠকের পর পদত্যাগ করবেন। কিন্তু পরিস্থিতি এতটাই জটিল হয়ে ওঠে এবং যেভাবে বিক্ষোভ শুরু হয়, তাতে তড়িঘড়ি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন কেপি শর্মা ওলি। আর এবার বিক্ষোভ কারীদের পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাঠমন্ডুর মেয়রের নাম সামনে আনা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি নেপাল সরকারের পক্ষ থেকে ২৬ টি সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে নিষিদ্ধকরনের নির্দেশিকা জারি হয়। আর তারপরেই জনতার মধ্যে তৈরি হয় ক্ষোভ। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যান করার নিষেধাজ্ঞা তো বটেই, এর পাশাপাশি সরকারের বিরুদ্ধে যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল, তার বহিঃপ্রকাশ ঘটতে শুরু করে জনতার এই উন্মত্ত বিক্ষোভের মধ্যে দিয়ে। একের পর এক সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরের পাশাপাশি সংসদ ভবনের দখল পর্যন্ত নিয়ে নেয় বিক্ষোভ কারীরা। ক্রমাগত গতকাল থেকে পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে যেতে শুরু করে। যার ফলে আজ পদত্যাগ করতে বাধ্য হন নেপালের প্রধানমন্ত্রী।
তবে প্রশ্ন একটাই ছিল যে, নেপালের প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করলে কে হবেন নেপালের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী? কার হাতে যাবে ক্ষমতা? বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে কি কারও নাম সামনে আনা হবে! আর এবার যে খবর পাওয়া যাচ্ছে, তাতে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কাঠমান্ডুর মেয়রের নামেই দাবি জানাচ্ছেন বিক্ষোভ কারীরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।