প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২৬ এর নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্রমাগত অভিযোগ করছেন যে, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালি হেনস্থা হচ্ছে। যদিও বা সেই অভিযোগের কতটা সত্যতা রয়েছে, তা নিয়েই পাল্টা চ্যালেঞ্জ করছে বিজেপি। তাদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী বুঝেছেন যে, এবার আর পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসা হচ্ছে না। সেই কারণে বাঙালি অস্মিতায় শান দিয়ে মিথ্যে কথা বলে নিজের পক্ষে মানুষের জনমত আনার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। ইতিমধ্যেই দিল্লির একটি ভিডিও বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। যাকে চরম মিথ্যাচার বলেই দাবি করছে বিজেপি। আর এবার সেই মুখ্যমন্ত্রীকেই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গুজব রটানোর ক্ষেত্রে পুরস্কার দেওয়া উচিত বলেই সওয়াল করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বস্তুত, বর্তমানে গোটা রাজ্য জুড়ে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে একটি বিষয় নিয়েই সব থেকে বেশি রাজনৈতিক তরজা হতে দেখা যাচ্ছে, তা হলো, ভোটার তালিকায় সংশোধন। তৃণমূলের দাবি, এই ভোটার তালিকায় সংশোধন করে বিজেপি ঘুরপথে বাংলা দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। যদিও বা বিজেপির দাবি, বাংলার ভোটার তালিকায় বহু রোহিঙ্গা এবং অনুপ্রবেশকারীরা ঢুকে রয়েছে। তারাই তৃণমূলের বড় ভোটব্যাংক। তাই তাদেরকে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দিলেই তৃণমূলের বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাবে। ফলে সংশোধন প্রক্রিয়া অত্যন্ত জরুরি। আর বিহারের মত বাংলাতেও ভোটার তালিকায় সংশোধন হতে পারে এবং তার ফলে তাদের ভোটব্যাংক হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে, এই আশঙ্কাতেই কি এখন কারওর নাম বাদ দেওয়া যাবে না বলে বাঙ্গালীদের হেনস্থা করা হচ্ছে বলে ক্রমাগত মিথ্যাচার করে যাচ্ছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী? ইতিমধ্যেই সেই প্রশ্ন তুলে দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকেই পাল্টা পুরস্কার দেওয়ার পক্ষে সওয়াল করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। যদিও বা এর পেছনে ভালো কোনো কারণ নেই। উল্টে শুভেন্দু অধিকারী যে কথা বললেন, তাতে আরও অস্বস্তিতে পড়ে গেলেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীকে সবাই দুর্নীতিগ্রস্ত জানে, চোর জানে, ধর্ষকদের রক্ষাকর্ত্রী জানে। আমরা নানাভাবে বলেছি, তিনি গুজব এবং মিথ্যা রটানোর ক্ষেত্রেও আন্তর্জাতিক মানের যদি কোনো পুরস্কার থাকে, সেটা পাওয়ার যোগ্যতা একমাত্র মমতা ব্যানার্জির আছে। গত কয়েকদিন ধরে লাগাতার মিথ্যে পোস্ট করে চলেছেন গুজব রটানোর মাস্টার মমতা ব্যানার্জি। শুধু তাই নয়, করছেন আর তুলছেন। কোচবিহারের প্রাক্তন সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়ের পোস্ট এবং তারপরে ক্ষমা চেয়ে সেটা তুলে নেওয়া।” অর্থাৎ এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তার দলের নেতারা যে সমস্ত বাঙালি হেনস্থার অভিযোগ এনে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করছেন, তার প্রত্যেকটাই ভিত্তিহীন এবং কোচবিহারের প্রাক্তন সাংসদ প্রথমে পোস্ট করে পরবর্তীতে তা যেভাবে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে তুলে নিয়েছেন, তাতেই স্পষ্ট যে, তৃণমূল মিথ্যাচারের রাজনীতি করছেন। আর সেই মিথ্যাচারের পর্দাফাঁস করে দিয়েই মুখ্যমন্ত্রীকে গুজব রটানোর ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক পুরস্কার দেওয়ার পক্ষেই সওয়াল করলেন শুভেন্দু অধিকারী।