Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

নবান্ন অভিযানে বাধা দিলেই সর্বনাশ! সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের হুশিয়ারিতে বিপাকে মমতা পুলিশ!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
আজ সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকে নবান্ন অভিযানের কথা। তবে ইতিমধ্যেই পুলিশ সেই জমায়েতকে আটকানোর জন্য সব রকম ব্যবস্থা করে ফেলেছে। বড় বড় গার্ডরেল থেকে শুরু করে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই পুলিশের এই অতি সক্রিয়তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন রয়েছে। কেন গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে নিজেদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করতে যাওয়া মানুষদের বাধা দেওয়া হচ্ছে? পুলিশ কি এইভাবে কোনো আন্দোলনকে দমন করতে পারে? সেই প্রশ্ন যখন বিভিন্ন মহলে উঠছে, ঠিক তখনই পুলিশের বিরুদ্ধে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলো সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। আর তাদের পক্ষ থেকে পুলিশকে উদ্দেশ্য করে যে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, তারপর এই রাজ্যের প্রশাসন বা বিরোধীদের কথায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ যদি সমঝে না যায়, তাহলে আজ ভয়ংকর পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বলা বাহুল্য, ইতিমধ্যেই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের ডাকা নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে পুলিশের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়ার সব রকম প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ তিনটি বড় বড় ব্যারিকেড দিয়েছে। যাতে কোনোভাবেই সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা নবান্ন অভিমুখে যেতে না পারেন। আর পুলিশের এই অতি সক্রিয়তা নিয়েই প্রশ্ন তুলে পাল্টা পুলিশ যদি আইন ভাঙ্গে, তাহলে কি হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা।

এদিন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের পক্ষ থেকে সাংবাদিক বৈঠক করা হয়। আর সেখানেই নবান্ন অভিযান নিয়ে পুলিশের প্রতি সক্রিয়তা প্রসঙ্গে তাদের এক সদস্য বলেন, “সংবিধানে বলা আছে, শান্তিপূর্ণভাবে জমায়েত করার অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের রয়েছে। আমরা বলেছি, আমরা শান্তিপূর্ণভাবে জমায়েত করব, কোনো অস্ত্রশস্ত্রের ব্যাপার নেই। তাহলে আমাদের যদি গ্রেফতার করে, পুলিশ তো সংবিধান ভাঙবে। আর যেখানে জমায়েত হবে, সেখানে ১৬৩ ধারাও নেই। সুতরাং, জমায়েত হবেই এবং আমরা সেখানে জমায়েত করে মুখ্যমন্ত্রীর দিকে যাব।”

আর সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যের এই বক্তব্যের পরেই একটা বিষয় স্পষ্ট যে, তারা কোনোমতেই আন্দোলনের রাস্তা থেকে সরে আসবেন না। যতই পুলিশের পক্ষ থেকে ব্যারিকেড দিয়ে তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হোক না কেন, তারা শেষ পর্যন্ত নবান্ন অভিমুখে যাওয়ার জন্য জমায়েত করবেন। আর এক্ষেত্রে যদি পুলিশ ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয় বা তাদের গ্রেফতার করে, তাহলে কিন্তু পুলিশের বিরুদ্ধেই পাল্টা প্রশ্ন তোলার অবকাশ থাকবে আন্দোলনকারীদের। তাই নবান্ন অভিযানকে আটকাতে বিরোধীদের কথায়, “মমতা পুলিশ” যদি অতি সক্রিয় হয়ে যায়, তাহলে সেই পুলিশই চরম সমস্যাল মুখে পড়ে যেতে পারে। সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের কড়া অবস্থানের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

Exit mobile version