Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

Big breaking অফিসারদের সাসপেন্ড নয়, নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দিলেন মুখ্যসচিব! এবার কড়া পদক্ষেপ নেবে কমিশন?

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
ভোটার তালিকায় গরমিলের অভিযোগে ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। যেখানে জানানো হয়েছিল যে, রাজ্যের চার অফিসারকে সাসপেন্ড করতে হবে। যদিও বা কমিশন এইভাবে নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার আগেই রাজ্যকে নির্দেশ দিতে পারে না বলে প্রকাশ্য মঞ্চ থেকে সোচ্চার হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেও রাজ্যের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ না হওয়ায় পাল্টা কমিশনের পক্ষ থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে চিঠি দিয়ে আজকের মধ্যেই গোটা বিষয়টি কমিশনকে জানাতে হবে বলে ডেডলাইন দেওয়া হয়েছিল। স্বাভাবিকভাবেই গোটা রাজ্যের নজর ছিল যে, রাজ্যের মুখ্যসচিবের পক্ষ থেকে কমিশনের কাছে কি চিঠি যায়! অবশেষে নির্বাচন কমিশনের কাছে পাল্টা গোটা ঘটনায় চিঠি দিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব।

জানা গিয়েছে, এদিন ডেড লাইনের মাঝেই মুখ্যসচিবের পক্ষ থেকে পাল্টা নির্বাচন কমিশনকে একটি চিঠি দেওয়া হয়েছে। যেখানে রাজ্যের মুখ্যসচিব চার অফিসারকে সাসপেন্ড করার যে নির্দেশ, তা যাতে করা না হয়, তার জন্য আবেদন জানিয়েছেন জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে। এক্ষেত্রে যে চার অফিসারকে নির্বাচন কমিশন সাসপেন্ড করার কথা জানিয়েছে, এই সমস্ত অফিসাররা অত্যন্ত দক্ষ এবং নিষ্ঠাবনে কাজ করছেন বলেই চিঠিতে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব। এমনকি এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিলে মনবল ভেঙে যাবে বলেও সেই চিঠিতে জানানো হয়েছে। অর্থাৎ নির্বাচন কমিশন যে সমস্ত অফিসারের বিরুদ্ধে রাজ্যকে পদক্ষেপ গ্রহণ করার কথা বলেছিল, রাজ্য কমিশনের সেই নির্দেশের পরেও তা যে পালন করছে না, তা আজকের চিঠি থেকেই স্পষ্ট হয়ে গেল। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে যে, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ ভঙ্গ করার কারণে এবার কি পাল্টা কমিশনের পক্ষ থেকে রাজ্যের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কড়া পদক্ষেপ?

বলা বাহুল্য, চিঠিতে রাজ্যের মুখ্যসচিব আরও জানিয়েছেন যে, নির্বাচনের যে সমস্ত কাজকর্ম রয়েছে, তা থেকে এই চার অফিসারকে তুলে নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত করার পর সেই ব্যাপারে কমিশনকে জানাবে রাজ্য। তবে কমিশন তো রাজ্যকে সাসপেন্ড করার কথা বলেছিল। কিন্তু রাজ্য তো সেই পথে হাঁটলো না। তারা তো অভ্যন্তরীণ তদন্ত করা হবে এবং এই চার অফিসারকে নির্বাচনী কাজ থেকে তুলে নেওয়া হবে বলেই জানালো। স্বাভাবিকভাবেই কমিশন কি রাজ্যের মুখ্যসচিবের এই চিঠিতে সন্তুষ্ট হবে, নাকি নিজেদের সিদ্ধান্তেই অনড় থেকে আবারও রাজ্যকে সাসপেন্ড করার কথাই জানাবে! তবে নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরেও রাজ্যের মুখ্যসচিব যেভাবে চিঠি দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে জানিয়ে দিলো যে, সাসপেন্ড করা হবে না চার অফিসারকে, তাতে রাজ্যের বিরুদ্ধে যদি কমিশন কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তাহলে রীতিমত শোরগোল পড়ে যেতে পারে রাজ্য রাজনীতিতে। সব মিলিয়ে মুখ্যসচিবের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে জাতীয় নির্বাচন কমিশন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

Exit mobile version