Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

পুজোর আগেই বাংলার জন্য বড় পদক্ষেপ? ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করে চমকে দিলেন শুভেন্দু!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
২০২৬ এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কংগ্রেস এখন সব থেকে বেশি চাপে রয়েছে এসআইআর নিয়ে। বিহারের মত বাংলাতেও ভোটার তালিকায় নিবিড় সংশোধনী প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে যখন বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, ঠিক তখনই পাল্টা তৃণমূল তাকে কটাক্ষ করছে। রাজ্যের শাসক দলের দাবি, এভাবেই বিজেপি নির্বাচন কমিশনকে কাজে লাগিয়ে অনেকের নাম বাদ দিয়ে ক্ষমতা দখল করতে চাইছে। যদিও বা রাজ্যে যে ভুয়ো ভোটার, রোহিঙ্গা, অনুপ্রবেশকারীরা রয়েছে, তাদের নাম বাদ যাবে এবং তার ফলে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবে না। যার জন্য তারা এত বেশি আতঙ্কিত বলেই দাবি করছে বিজেপি। আর এসবের মধ্যেই পুজোর আগেই কি বাংলায় তৃণমূলের যন্ত্রণা বাড়িয়ে ঘটে যাবে বড় ঘটনা? দীঘার হিন্দু সুরক্ষা যাত্রা থেকে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

বস্তুত, বর্তমানে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর দলের নেতা-নেত্রীরা এসআইআরের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন। তাদের একটাই বক্তব্য, কোনো মতেই ভোটার তালিকা থেকে কারও নাম বাদ দেওয়া যাবে না। আর তার মধ্যেই এবার দীঘার হিন্দু সুরক্ষা যাত্রা থেকে ইঙ্গিত পূর্ণ মন্তব্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “যে রাজ্যে ইডি, সিবিআই মার খায়, যে রাজ্যে আমরা বিধানসভার ভেতরে আক্রান্ত হই, যে রাজ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মার খায়, জেপি নাড্ডা মার খায়, ইনকাম ট্যাক্সের অফিসাররা মার খায়, সেখানে শুরুটা করতে দেন। শুধু শুরুটা করতে দিন। তারপরে দেখতে পাবেন, কি কি হচ্ছে। পুজোর আগেই অনেক কিছু হবে।”

আর শুভেন্দুবাবুর এই মন্তব্যের পরেই প্রশ্ন উঠছে, ঠিক কিসের ইঙ্গিত দিচ্ছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা? তাহলে কি এই রাজ্যে এসআইআর হচ্ছেই? তাই এত কনফিডেন্ট মনোভাব পোষণ করে এই এসআইআর হলে যে তৃণমূলের বিদায় ঘন্টা বেজে যাবে, সেই ইঙ্গিত দিলেন তিনি? নাকি এই এসআইআরের বিরোধিতা করা তৃণমূলকে পাল্টা জবাব দেওয়ার জন্য বড় কোনো পরিকল্পনা কষে রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার? সেক্ষেত্রে ভোটার তালিকায় যদি সংশোধনী প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং তৃণমূলের পক্ষ থেকে যদি তাতে বাধা দেওয়া হয়, তাহলে কি রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হতে পারে? নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে কি সেই ইঙ্গিতই দেওয়ার চেষ্টা করলেন বিরোধী দলনেতা? জল্পনা ক্রমশ তীব্র হচ্ছে রাজনৈতিক মহলে।

Exit mobile version