Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের পরেই নেপালে বড় পদক্ষেপ, কি করতে চলেছে সেনা?

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- নেপালে উন্মত্ত জনতার যে বিক্ষোভ শুরু হয়েছিল, তাতে পরিস্থিতি আর হাতের মধ্যে ছিল না নেপাল সরকারের। যার ফলে একের পর এক মন্ত্রীরা পদত্যাগ করতে শুরু করেন। আর দুপুরের দিকেই পদত্যাগ করেন নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। উন্মত্ত জনতা একের পর এক সরকারি সম্পত্তি থেকে শুরু করে নেতা-মন্ত্রীদের বাসভবন পর্যন্ত ছাড় দিচ্ছে না। বিভিন্ন জায়গায় অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বিধ্বংসী পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গোটা নেপাল জুড়ে। আর প্রধানমন্ত্রীর পর রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করার সাথে সাথেই এবার বড় পদক্ষেপ নিয়ে নিলো সেনাবাহিনী।

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই নেপালের রাষ্ট্রপতি পদত্যাগ করেছেন। আর তারপরেই সেনার পক্ষ থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে পাল্টা পদক্ষেপ। যেখানে কাঠমান্ডুর নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দখলে নিয়ে নিয়েছে সেনাবাহিনী। অর্থাৎ রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের পরেই আর বিন্দুমাত্র দেরি না করে পরিস্থিতি অনুভব করে তড়িঘড়ি ময়দানে নেমে পড়ল নেপালের সেনা। যেখানে গোটা পরিস্থিতি পরিপ্রেক্ষিতে আর কিছু সময় পরেই নেপালের সেনাপ্রধানের পক্ষ থেকে বার্তা দেওয়া হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নেপালে বর্তমানে অত্যন্ত সংকটজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যেভাবে জনতা বিক্ষোভ করেছে এবং যেভাবে সরকারি সম্পত্তি ধ্বংস হয়েছে, তাতে গোটা নেপালে বিধ্বংসী পরিস্থিতি। তাই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের পর নেপালের আইন শৃঙ্খলার ভার কার হাতে যাবে, তা নিয়ে একটা চর্চা চলছে বিক্ষোভকারীদের পক্ষ থেকে। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে একটি নাম সামনে এনে দাবি রাখা হচ্ছে। তবে বর্তমানে যাতে অচলাবস্থা তৈরি না হয় এবং পরিস্থিতি যাতে আরো ঘোরালো না হয়ে পড়ে, তার জন্য রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের পরেই নেপালের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে নিয়ে নিল সেনাবাহিনী। তবে সেনাপ্রধান যদি কোনো বার্তা দেন, তাহলে সেই বার্তায় ঠিক কোন কোন বিষয় উল্লেখিত থাকে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

Exit mobile version