Site icon প্রিয় বন্ধু মিডিয়া

স্কুলে স্কুলে মমতার লেখা বই, “ছেলেমেয়েদের ক্ষতি” পাল্টা খোঁচা দিয়ে যা বললেন শুভেন্দু! জেনে নিন!

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-
সম্প্রতি এই রাজ্যের পক্ষ থেকে একটি সার্কুলার জারি করে স্কুলে স্কুলে পাঠানো হয়েছে যে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর লেখা ১৯ টি বই গ্রন্থাগারে রাখতে হবে। যে নির্দেশিকা ঘিরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। বিরোধীরা ক্রমাগত প্রশ্ন তুলছেন যে, একজন মুখ্যমন্ত্রী, একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, তার বই কেন এইভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াতে বাধ্য করা হবে? আর সেই বইয়ের মধ্যে যদি ভালো কিছু লেখা থাকত, তাহলে না হয় হত। কিন্তু সেখানে যে সমস্ত লেখা রয়েছে, তা শিশুমনকে পড়িয়ে তাদের ভবিষ্যৎকে নষ্ট করার চেষ্টা হচ্ছে বলেই অভিযোগ করছে বিরোধীরা। আর এসবের মধ্যেই শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিনে পাঁশকুড়ায় একটি কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী লেখা বই স্কুলে স্কুলে পাঠানো নিয়ে কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

গতকাল শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্ম জয়ন্তী উপলক্ষে পূর্ব পাশকুড়ায় একটি কর্মসূচিতে উপস্থিত হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আর সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়কে অমান্য করে তার বই, তার ইতিহাস, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে না জানিয়ে যেভাবে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বই স্কুলে স্কুলে গ্রন্থাগারে রাখার ব্যাপারে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, তা নিয়ে সোচ্চার হন তিনি। শুভেন্দুবাবু বলেন, “আমরা চাই না, ছাত্ররা মুখ্যমন্ত্রীর এপাং ওপাং ঝপাং পড়ুক। এইসব বই পড়লে ছেলেমেয়েদের ক্ষতি হয়ে যাবে। আমরা চাই, বিজেপি ক্ষমতায় এলে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জীবনী পড়ানো হবে। মাতঙ্গিনী হাজরা, বিনয় বাদল দীনেশ, নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোস, ক্ষুদিরাম বসুর ইতিহাস ভবিষ্যৎ প্রজন্ম জানবে।”

গেরুয়া শিবিরের ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি, সঠিক কথাই তো বলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। রাজ্যের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ক্ষতি করার অধিকার তৃণমূলের সরকারকে কে দিয়েছে? শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য তার লেখা বই, যেখানে যা খুশি তাই লেখা আছে, যা ছাত্রছাত্রীদের বোঝার মত মস্তিষ্ক নেই, সেই বই শিশুমনে জোর করে প্রবেশ করানোর অর্থ কি? আসলে এটা ফ্যাসিস্ট শাসকের পরিচয়। কিন্তু এই করে বেশি দিন টিকে থাকতে পারবে তৃনমূল। ২০২৬-এ রাজ্যের ক্ষমতার পরিবর্তন হবে। আর তখনই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা এই সমস্ত বইকে সরিয়ে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ইতিহাস সম্বলিত বই রাখা হবে স্কুলের গ্রন্থাগারে বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের ইচ্ছে, যেনতেন প্রকারেন সকলের মনে যেন তারা টিকে থাকেন। কিন্তু সকলের মনে টিকে থাকতে গেলে কাজ করতে হয়। এক্ষেত্রে নিজের লেখা বই স্কুলের গ্রন্থাগারে রাখার ব্যাপারে বাধ্যতামূলক নির্দেশিকা জারি করা কি শাসকের মহানুভবতার পরিচয়? এর ফলে তো শিক্ষানুরাগী জনতা যেমন ক্ষুধা হতে শুরু করেছেন, ঠিক তেমনই শিশুমনের মধ্যেও এর বিরুদ্ধে প্রভাব বিস্তার করছে। যার ফলে আরও ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে তৃণমূল সরকারের। আর সেই জায়গাটা ধরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা বইয়ের সমালোচনা করে বিজেপি ক্ষমতায় এলে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ইতিহাস সম্বলিত বই স্কুলের গ্রন্থাগারে রাখা হবে বলে মুখ্যমন্ত্রীর অস্বস্তি বাড়িয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী বলেই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের।

Exit mobile version