প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- নেপালি যে বিধ্বংসী পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল, তাতে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে গোটা বিশ্বে। শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের মত নেপালেও জনতার উন্মত্ত বিক্ষোভের কারণে সরকারের পতন হয়েছে। রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত পদত্যাগ করেছেন। যার ফলে গোটা নেপালের দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে সেনাবাহিনী। তবে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে উন্মত্ত জনতার পক্ষ থেকেই একটা আওয়াজ হচ্ছে। তাদের বক্তব্য, কাঠমান্ডুর মেয়রকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী করা হোক। আর এই পরিস্থিতিতে গোটা নেপাল সেনার অধীনে যাওয়ার পরেই সেই কাঠমান্ডুর মেয়রের সঙ্গেই আলোচনায় বসতে চাইছে সেনাবাহিনী।
প্রসঙ্গত, জনতার উন্মত্ত বিক্ষোভের কারণে আজ সকাল থেকেই একের পর এক মন্ত্রীরা পদত্যাগ করতে শুরু করেন. সন্ধ্যেবেলা নেপালের প্রধানমন্ত্রী সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেও শেষ পর্যন্ত তার ভেত যায়. তার আগেই তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। এমনকি রাষ্ট্রপতি পর্যন্ত পদত্যাগ করেন. আর তারপরেই নেপালের দখল নেয় সেনাবাহিনী।
অন্যদিকে নেপালে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তা সমাধানের চেষ্টা করছে সেনা। তাই উন্মত্ত বিক্ষোভকারীরা দাবি করছেন যে, নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হোক কাঠমান্ডুর মেয়র বলেন্দ্র শাহকে। তাই পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুভব করে এবার সেনাবাহিনীর হাতে নেপালের দায়িত্ব যাওয়ার পর সেই সেনার পক্ষ থেকে কাঠমান্ডুর মেয়রের সঙ্গে আলোচনায় বসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই সেনাবাহিনীর সেই চেষ্টা কতটা সফল হয় এবং কাঠমান্ডুর মেয়রের সঙ্গে আলোচনায় কি উঠে আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।